সালমানের বাড়িতে গুলি ছোড়ার পরিকল্পনা হয় যুক্তরাষ্ট্রে
বিনোদন ডেস্ক ঃ
বলিউড ভাইজান’খ্যাত সালমান খানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। জানা গেছে, এই হামলার ছক কষা হয়েছিল সুদূর আমেরিকায় বসে। ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে মুম্বাই পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সালমানের বাড়ির দিকে গুলি ছোড়া দুই অজ্ঞাত আর কেউ নন, তারা ভারতের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর লোক। গ্যাংস্টার লরেন্স সালমানের বাড়ির সামনে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর শুধু দায়ই স্বীকার করেননি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এ বিষয়ে পোস্ট করে আবারও হত্যার হুমকি দিয়েছেন সালমানকে।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোইর (বিষ্ণোই গ্যাংয়ের লিডার) ভাই আনমোল বিষ্ণোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার কাছে শুটার বাছাইয়ের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। গোদারার পেশাদার শুটারদের নেটওয়ার্ক পুরো ভারতজুড়ে। গোদারা এ হামলার পুরো দায়িত্ব দেন শুটার বিশালকে।
বিশাল গুরুগ্রামের বাসিন্দা। জেল খাটা আসামি। ২০২০ সালে প্রথমবার পুলিশের খপ্পড়ে পড়েন তিনি। মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে তিহাড়ে বন্দী ছিলেন বিশাল। তিনি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পাশপাশি, রোহিত গোধরা গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করছেন। গত বছর গুরুগ্রামে দুই খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় তার। এবার সালমানের বাড়িতে গুলি চালিয়ে রাতারাতি আলোচনায় এলেন এই ব্যক্তি।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুমকির চিঠি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। এই গ্যাংয়ের লিডার লরেন্স বিষ্ণোই এর আগেও সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কারাগারে আছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তার হয়েই এবার সামাজিকমাধ্যমে হুমকি দিলেন তারই ভাই আনমোল বিষ্ণোই।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে সালমানের নাম। এরপর থেকেই ‘বদলা নিতে’ সালমানকে লাগাতার খুনের হুমকি দিয়ে চলেছে লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই হত্যার যে ১০ জনের তালিকা করেছেন তার সবার প্রথমে রয়েছে সালমান খানের নাম। আর তাই কয়েক মাসের ব্যবধানেই অভিনেতাকে হত্যার আগে ভয় দেখানোর কাজটি চালু রেখেছে দুর্বৃত্তরা।