যেভাবে ঘটল সদরঘাটের দুর্ঘটনা

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে আঘাত করায় পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী মারা গেছে। তাদের মধ্যে তিনজনই এক পরিবারের সদস্য। তারা বাড়ি ফিরতে ঘাটে এসেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পন্টুনে অনেক লঞ্চ বাঁধা রয়েছে। সেখান ছিল যাত্রীদের ভিড়। এ সময় হঠাৎ একটি রশি দ্রুত গতিতে এসে লঞ্চের পাশ দিয়ে চলাচল করা যাত্রীদের আঘাত করে। এতে সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন সেখানে পড়ে যান। তাদের উদ্ধারে ছুটে আসেন পাশে থাকা অন্য যাত্রীরা। লঞ্চে থাকা যাত্রীরাও বাইরে বেরিয়ে আসেন। একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তারাও ছুটে আসেন।

জানা যায়, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হন পাঁচজন। গুতাদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন হলেন মো. বেলাল (২৫), মুক্তা (২৬) ও তাদের তিন বছরের মেয়ে শিশু মাইশা। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। নিহত বাকি দুজন হলেন রিপন হাওলাদার (৩৮) ও রবিউল (১৯)।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন নৌ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস। তিনি জানান, পাঁচজনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত আলী জানান, নিহতরা সম্ভবত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য লঞ্চের খোঁজ করছিলেন। এমন সময় তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে তাদের শরীরে লাগে। লঞ্চের রশি অনেক মোটা ও ভারী হওয়ায় জোরে আঘাত লাগে। এতে তারা প্রাণ হারান।

আজ এক শোক বার্তায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের ছেঁড়ে রশির আঘাতে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

শোক বার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রতিমন্ত্রী। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য