বাংলাদেশ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত : দুদক কমিশনার
সারাদেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন পরীক্ষায় যত জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত বলে জানিয়েছেন (দুর্নীতি দমন কমিশন) দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আজ সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাদের বৈঠকে তিনি একথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে বিজিপ্রেসের কিছু অসাধু কর্মচারী জড়িত। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ শিক্ষাখাতে দুর্নীতি রোধে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আমাদের হাতে অনেক সাজেশন এসেছে। এর এক পর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিই, পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র ছাপা হবে। কিন্তু আমরা জানতে পারলাম প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষকরা পরে ওই সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসি।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে। তাদের তদন্তে আমরা জানতে পারি, যে প্রশ্নফাঁস হয় মূলত বিজিপ্রেস থেকে। বিজিপ্রেসের লোকজনই প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। সেই খানের লোকজন প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ঢাকার শহরে ৪-৫টা বাড়ির মালিক হয়েছেন।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির কার্যক্রমসহ প্রতিটি সাধারণ কাজ অনলাইনভিত্তিক করার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস কীভাবে ঠেকানো যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দুদক মহাপরিচালক (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার স্তরে স্তরে দুর্নীতি। এসব দুর্নীতি নির্মূলে দুদকের পক্ষ থেকে বৈঠকে ৩৯ টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন তিনি। বাসস