সন্ত্রাস নির্মূলের অঙ্গীকারসহ যা বললেন এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ

 

সম্প্রতি রাজধানী আঙ্কারায় ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার পর সিরিয়া ও ইরাকে পিকেকে বা ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলন থেকে ফেরার পথে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এই হামলা সিরিয়া থেকে অনুপ্রবেশ করে ঘটানো হয়েছে এবং এর প্রেক্ষিতে রাতভর ৪০ জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে।

এদিকে এ হামলার জন্য পিকেকে বা ওয়াইপিজি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে তুরস্কের যুদ্ধ মন্ত্রণালয়। ঘটনার পর সিরিয়া ও ইরাকে বিমান হামলা চালিয়ে পিকেকে বা ওয়াইপিজির শতাধিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে এবং বেশ কিছু সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এরদোগান শুক্রবার বলেন, তুরস্ক কখনো সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটনে আপস করবে না এবং তারা পিকেকে বা ওয়াইপিজি সন্ত্রাসীদের পরাজিত করতে কঠোরভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।

তুরস্কের সন্ত্রাস নির্মূলের এই নীতির প্রতি যদিও সমর্থন জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ওয়াইপিজি-কেও সমর্থন দেওয়ার কারণে মার্কিন-তুর্কি সম্পর্ক প্রায়ই টানাপোড়েনের মধ্যে থাকে।

সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের আশা

এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে তৎপর তুরস্ক। বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে পিকেকে বা ওয়াইপিজির প্রভাব কমাতে। এ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে আলোচনায় বসার জন্য চাপ দিতেও অনুরোধ করেছেন এরদোগান।

এরই প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং আসাদ-এরদোগান বৈঠকের বিষয়টি এখন অনেকটাই অগ্রসরমান অবস্থায় রয়েছে।

ফিলিস্তিনের জন্য সমর্থন

অন্যদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় সহিংসতা এবং ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য জাতিসংঘে একটি সামরিক নিষেধাজ্ঞার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

এ বিষয়ে এরদোগান বলেন, মানবতার ঐক্য হিসাবে আমরা এ কাজটি সফল করতে চাই এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তির দ্বার উন্মুক্ত করতে চাই। সূত্র: ডেইলি সাবাহ

এ বিভাগের অন্যান্য