অসামাজিক কার্যকলাপ : সিলেটে আবাসিক হোটেলগুলোতে শিক্ষার্থীদের তল্লাশি, মালিকরা ভয়ে

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। পুলিশের নিয়মিত অভিযানেও বন্ধ হয়নি এই কার্যকলাপ। চলছে নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা। তবে সরকার পতনের পর সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গত তিনদিনে নগরীর অন্তত তিনটি হোটেলে তল্লাশি করেছে শিক্ষার্থীরা। আটক হচ্ছেন নারী-পুরুষসহ অনেকেই। এতে আতঙ্কে রয়েছেন ‘অপর্কমে’ জড়িত হোটেল মালিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  সিলেটের আবাসিক হোটেলগুলোতে গড়ে উঠেছে ‘মিনি পতিতালয়’। পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালালেও এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না নগরজুড়ে। উঠতি বয়সী তরুণী ও নারীদের দিয়ে অবৈধ দেহ ব্যবসা পরিচালনার দায়ে বেশীর ভাগ হোটেলে অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হোটেল তরুণ-তরুণীসহ হোটেল ম্যানেজারকে আটক করলেও মালিকরা থেকে যান অধরা।

এদিকে সবশেষ সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট এলাকার সিতারা আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় ৩ নারী ও একজন পুরুষকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। এসময় সিতারা হোটেলের ম্যানেজার পালিয়ে যান। এসময় দুটি কক্ষে অসামাজিক কার্যকলাপরত ৩ নারী ও ১ পুরুষকে আটক করে ছাত্ররা।

এর আগে রবিবার (১১ আগস্ট) দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় ১ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার রাত ৯টার দিকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকার রমনা সুপার মার্কেটে অবস্থিত হোটেল মার্টিন আবাসিকে তল্লাশি চালিয়ে এ ৬ জনকে আটক করে তারা।

জানা যায়, ‘হোটেল মার্টিন আবাসিকে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে’ এমন খবর পেয়ে সিলেটের বর্ডার গার্ড স্কুল ও কলেজ, পাইলাট স্কুল ও এমসি কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্র রবিবার রাত ৯টার দিকে হোটেলটিতে তল্লাশি চালায়। এসময় বিভিন্ন কক্ষে অসামাজিক কার্যকলাপরত ১ নারী ও ৫ পুরুষকে আটক করে। এসময় হোটেলে থাকা আরও কয়েকজন নারী-পুুরুষ পালিয়ে যায়।

তার আগে শনিবারও (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগরের সুরমা মার্কেটে অবস্থিত ‘সুরমা আবাসিক হোটেল’-এ এভাবে তল্লাশি চালায় শিক্ষার্থীরা। তবে এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪ নারী ও ৩ পুরুষ ছাদে গিয়ে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। এ তল্লাশিতে  সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি কলেজ-ভার্সিটির ছাত্র অংশগ্রহণ করেন।

একটি সুত্র জানিয়েছে, মহানগরের কদমতলী সাকিনস্থ হোটেল সাগর এন্ড রেস্ট হাউজ, তালতলার হোটেল সুফিয়ায় (আবাসিক), দক্ষিণ সুরমার কদমতলি এলাকার কয়েস আবাসিক হোটেল, ওসমানী হাসপাতাল এলাকার হোটেল বাধন আবাসিক,  সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তিতাস অবাসিক হোটেলসহ অসংখ্য হোটেলসহ নগরীর অসংখ্য আবাসিক হোটেলে নিয়মিত চলে অবৈধ অসামাজিক কর্মকাণ্ড।

পুলিশের নিয়মিত অভিযানে এসব হোটেল থেকে গ্রেফতারও হচ্ছেন নারী-পুরুষ। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব হোটেলের মালিকরা থেকে যাচ্ছেন আড়ালে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়েছে। আর এমন পরিস্থিতি শিক্ষার্থীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন হোটেলগুলোতে।

এ বিভাগের অন্যান্য