ঢাবিতে যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা

সিলেটের সময় ডেস্ক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে অভিযোগের তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

গতকাল শনিবার রাতে বিভাগের ১৩, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭তম ব্যাচের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের এ সিদ্ধান্ত জানান।

১৩তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩তম ব্যাচ থেকে শিক্ষায়তনের সকল ক্লাস, পরীক্ষা তথা একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা করছি। বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধান না আসা পর্যন্ত আমরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করছি না।’

১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪তম ব্যাচ সকল ধরনের যৌন সহিংসতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার। সম্প্রতি বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি।’

১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সকল ক্লাস বর্জন করলাম। বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ‘যৌন নিপীড়ন’ এর অভিযোগের কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না।’

১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৬তম ব্যাচ থেকে সকল একাডেমিক ক্লাস বর্জন করছি। নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করছিনা।’

১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা সত্যের পক্ষে, সুন্দরের পক্ষে। আমরা প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। শিক্ষকসহ সবার প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে আমাদের সিনিয়রদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আমরা চলমান সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। আমরা সকল ধরনের ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করছি।’

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘আজকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ঢাকা বাইরে ছিলাম। রাতে ঢাকায় এসেছি। বিষয়টির খোঁজ নিব।’

উল্লেখ্য, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে সকল প্রমাণাদিসহ যৌন হয়রানির অভিযোগপত্র দায়ের করেন।