সৌদি আরব থেকে যুবদলের ২ নেতাকে দেশে আনল পুলিশ

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

ইমেইলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সৌদি আরবে আটক যুবদলের দুই নেতাকে ফেরত এনেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আজ রবিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।

ফেরত আসা যুবদলের দুই নেতারা হলেন সৌদি আরব যুবদলের একাংশের সভাপতি কবির হোসেন ও একই দলের নেতা বাদল। কবিরের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে চাঁনপুরের নয়নপুরে ও বাদলের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ইমেইল দেওয়ার অভিযোগে সৌদি আরব সরকার তাদেরকে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। গত ২৯ জানুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ১৭ এপ্রিল বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিটে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন সেন্টারের ইমেইলে একটি হুমকি বার্তা সম্বলিত ইমেইল আসে। তৎক্ষণাৎ হুমকি বার্তার ভয়াবহতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি বার্তামূলক ইমেইল প্রেরণকারীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিটিটিসির একটি চৌকস টিম গোপনীয় অনুসন্ধান এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ শেষে ইমেইল বার্তা প্রেরণকারীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং হুমকি বার্তা প্রেরণকারী ব্যক্তির নাম দীন ইসলাম বাদল বলে নিশ্চিত হয়।’

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হুমকি বার্তা প্রদানকারীর ইন্টারনেট (আইপি) অ্যাকটিভিটি পর্যালোচনা করে তার অবস্থান সৌদি আরবে শনাক্ত করা হয়। গত বছরের ২০ এপ্রিল এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘মামলার আসামি ও সহযোগীদের সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য পুলিশ সদর দপ্তর ইন্টারপোলের মাধ্যমে এবং একই সঙ্গে ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল ব্যবহার করা হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে ওই দুজনকে আটক করে এ বছরের ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে পাঠায়। পরে বিমানবন্দর থেকে সিটিটিসি তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তারা দুজন রিমান্ডে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দীন ইসলামের কাছ থেকে হুমকি প্রদানকারী ইমেইল অ্যাড্রেসটির রিকভারী মোবাইল নম্বরটিসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, কবিরের পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া মেইলটি বাদল পাঠিয়েছিলেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত ১৬ থেকে ১৭ বছর তারা সৌদি আরব থাকছেন। তারা চাকরি ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন তারা বাংলাদেশে আসেনি। এই হুমকির সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার এই দুজনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর দেশদ্রোহী কন্টেন্ট পাওয়া গেছে।’

এ বিভাগের অন্যান্য