দুবাই থেকে ফিরেই গ্রেপ্তার উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিক, পরে জামিন
সিলেটের সময় ডেস্ক :
ধানমন্ডির উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে সিসি ক্যামেরার স্থাপন করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফারনাজ আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে আজ বিদেশ থেকে ফিরলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে ফারনাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ দুপুরে ফারনাজ আলমকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে, আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবু তালেব বলেন, ‘উইমেনস ওয়ার্ল্ডের মালিক ফারনাজ আলম দেশের বাইরে ছিলেন। ইমিগ্রেশনকে আগেই তার বিষয়ে জানিয়ে রাখা হয়েছিল। শনিবার তিনি এমিরেটনের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে ঢাকায় ফেরেন। বিষয়টি ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের জানালে বিমানবন্দর থেকে ফারনাজ আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তার রিমান্ড চাওয়া হয়নি।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করে।
মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন পার্লারের মালিক তসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭), কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২) ও এইচ এম জুয়েল খন্দকার (৩৩)।
অভিযানের দিন এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২), এইচ এম জুয়েল খন্দকারকে (৩৩) আটক করা হয়। পরদিন তাদের আদালতে পাঠানো হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর হয়। মামলার অপর আসামি কনা আলম এখনো পলাতক রয়েছেন।
অভিযানে গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তেই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।