চুমুকাণ্ডের পর বরখাস্ত স্পেনের কোচ
খেলাধুলা ডেস্ক ঃ
বিশ্বকাপ জিতলেও স্পেনের নারী দলে তুলকালাম চলছে। আসরের ফাইনালে স্প্যানিশ ফুটবল সভাপতি লুইস রুবিয়ালেসের চুমুকাণ্ডে বিব্রত ছিল দলটি। এনিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে। তবে দেশটির নারী ফুটবলারদের দাবি মেনে কোচ জর্জ ভিলদাকে বরখাস্ত করল সংস্থাটি।
মূলত চুমুকাণ্ডে জর্জরিত দলটির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্পেনের ফুটবল সংস্থা নারীদের ফুটবলে ব্যাপক রদবদল শুরু করেছে। তারই অংশ হিসাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বিশ্বজয়ী কোচকে। যদিও নারী দলের ফুটবলারদের সঙ্গে ভিলদার সম্পর্ক আগে থেকেই ছিল অত্যন্ত শীতল। টবলারেরা প্রায় কেউই তার সঙ্গে কথা বলতেন না। বিশ্বকাপ জয়ের পরেও কোচ বাদ দিয়েই উচ্ছ্বাস, উৎসবে মেতেছিলেন তারা।
সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, স্পেনের প্রথম সারির একাধিক নারী ফুটবলার (কমপক্ষে ১৫ জন) ভিলদার কোচিংয়ে খেলতে অস্বীকার করেন। তারা বিশ্বকাপের আগেই জাতীয় দল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর ধরে ভিলদাকে কোচের পদ থেকে সরানোর দাবিতে সরব ছিলেন স্পেনের নারী ফুটবলাররা। কিন্তু ফুটবল সংস্থার সভাপতি রুবিয়ালেসের ঘনিষ্ঠ ভিলদার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করেননি ফুটবল কর্তারা।
এদিকে চুমুকাণ্ডের জন্য ফিফা রুবিয়ালেসকে তিন মাসের জন্য সাময়িক নিধেধাজ্ঞা দিয়েছে। স্পেনের ফুটবল কর্তারা ভিলদাকেও সরিয়ে দিলেন। স্পেনের ফুটবল সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি পেদ্রো রোকা মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রুবিয়ালেস পদত্যাগ করবেন না জানানোর পর স্পেনের ৮২ জন নারী ফুটবলার জানান, তারা জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না। তার পর ভিলদা বাদে বাকি কোচিং স্টাফেরা পদত্যাগ করেছিলেন।
বিশ্বকাপে চুমুকাণ্ডে অভিযুক্ত ফুটবল কর্তা রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে স্পেনের সরকার। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর পুরস্কার দেওয়ার সময় স্পেনের মহিলা ফুটবলার জেনিফার এরমোসোকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুমু খেয়েছিলেন রুবিয়ালেস। তার দাবি ছিল, এরমোসোর সম্মতিতেই চুমু খেয়েছিলেন। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন এরমোসো।