মাহমুদউল্লাহকে ‘আশ্বাস’ দিয়েও ফেরানো হয়নি
খেলাধূলা ডেস্ক ঃ
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বারবার আশ্বাস দিয়েও দলে ফেরানো হয়নি।
জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ইংল্যান্ড সিরিজে খেলেছেন রিয়াদ। বাদ পড়েন মার্চে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজে।
সেই সময়ে সহকারী নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছিলেন, ‘রিয়াদকে আয়ারল্যান্ড সিরিজের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। বিশ্রামে রাখা হয়েছে।’
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানান, ‘রিয়াদ এখনো আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’
ঘরের মাঠে আইরিশদের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার পর মে মাসে ইংল্যান্ডের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যায় বাংলাদেশ। সেই সিরিজের দলেও জায়গা হয়নি রিয়াদের।
সেই সময়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ভাষ্য ছিল- ‘কেউ চোখের আড়াল নয়, সবাইকে সমানভাবে দেখা হবে। রিয়াদ আমাদের বিবেচনায় আছেন।’
সেই সময়ে কোচ হাথুরুসিংহে বলেছিলেন- ‘রিয়াদ আফিফের বিশ্বকাপের আগে দলে ফেরার সুযোগ আছে।’
জুলাই মাসে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজের দলেও জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহর। সেই সময় জাতীয় দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন- ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন আমাদের বিবেচনায় আছে।’
গত ১২ মে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন- ‘আমার ধারণা রিয়াদ বিশ্বকাপ দলে থাকবে।’
রিয়াদ হজ পালনে ছুটিতে থাকাকালীন ২৯ মে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন- ‘বিশ্বকাপের বিবেচনায় রাখতে কোনো সমস্যা নেই।’
গত ১৭ জুলাই প্রধান নির্বাচক নান্নু রিয়াদকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেছিলেন- ‘রিয়াদকে আশ্বাস দিতে নারাজ।’
বছরের শুরু থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়নি।
দল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা হয়েছে। অনেক আলোচনা করার পর টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের একটা পরিকল্পনা দেয়, সামনে কোন দেশের সঙ্গে কিভাবে খেলবে, কী পরিকল্পনা। ওই চিন্তাভাবনা করেই রিয়াদকে বাইরে রাখা হয়েছে।’