সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান সিপিবির

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তদারকি সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে। এজন্য আন্দোলনের মাধ্যমে চলমান স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে হবে।

 

আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন।

সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপনের সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন ও ত্রিদিব সাহা, জেলা কমিটির সদস্য মঞ্জুর মঈন প্রমুখ।

সমাবেশে সিপিবি সভাপতি বলেন, সরকার মানুষের মুখের অন্ন কেড়ে নিয়েছে। প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে।

দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে মানুষের কাঁধে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চাপিয়েছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে যারা দেশের শাসন প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিনাশ করেছে। তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একটি তথাকথিত সংবিধানসম্মত স্বৈরশাসন কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীন সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে আগামী নির্বাচন অতীতের মতো ভোটারবিহীন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, একতরফা উপায়ে সম্পন্ন করতে চায়।
 

সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, সিপিবিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হুলিয়ার মাধ্যমে আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অতীতে দমন-পীড়নের মাধ্যমে কোনো আন্দোলই দমন করা যায়নি, এখনো যাবে না। সকল জুলুম-নির্যাতন মোকাবিলা করে সংগ্রামের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্র ও প্রতিনিধিত্বশীল শাসনের দীর্ঘ অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ, সার্বভৌমত্বের উপর আগ্রাসী হওয়ার ক্ষেত্রে বিবাদমান সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহ এবং আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রগুলো চরম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত আছে। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে অতীতের মতোই একটি প্রহসনের নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলকে টেনে আনার সব ধরনের প্রচেষ্টা চলমান আছে।

এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্প্রতি বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দল, এমনকি জামায়াতকে নিয়েও রাষ্ট্রশক্তির নানান তৎপরতা চোখে পড়ছে। 

নেতৃবৃন্দ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করতে এবং দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে রাজনৈতিক আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য