নিপুসহ নেতৃবৃন্দের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হিরন মাহমুদ নিপুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দের উপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।শুক্রবার বিকেলে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন- হিরন মাহমুদ নিপুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতৃবৃন্দের উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে এক কুচক্রি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছে। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবে।
বক্তারা আরো বলেন- বঙ্গবন্ধুর ছবি ও নৌর্কায় ভোট দেওয়ার জন্য বিএনপি নেতা গয়াছের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় শ্রমিকরা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। সেই গয়াছকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে আরো বলেন যে, যে নারী সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তা পিবিআইতে তদান্তাধীন আছে। সেই নারীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং উনি একজন ভারসাম্যহীন মহিলা হিসেবে ইউনিয়নের প্রত্যেক মেম্বার ও চেয়ারম্যান লিখিত দিয়েছেন। আনাছ নামে যে ছেলেটি অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বালুচর নতুন বাজারে ওই ছেলের কোন দোকান বা ব্যবসা নেই। বালুচর নতুন বাজার কমিটির সভাপতি সাধারন সম্পাদকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থানায় উপস্থিত হয়ে অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে- আনাছের বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং পরিকল্পিত সাজানো। আনাছের অভিযোগ পত্রে রোহেল ও শাহরিয়ার স্বাক্ষীগন সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের জোর দাবি জানান। প্রত্যেক অভিযোগকারী ও স্বাক্ষীগন প্রত্যেকেই ছাত্রদল থেকে সদ্য আগত এবং সংবাদ সম্মেলনকারী মনোয়ারা বেগম জাতীয়তাবাদি মহিলা দলের নেত্রী।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক এড. রণজিত সরকার, সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিটু, সিলেট মহানগর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম হাছান চৌধুরী সাজন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সঞ্জয় চৌধুরী, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নাজমুল ইসলাম, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হোসাইন আহমদ চৌধুরী, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাদিকুর রহমান, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মওদুদ আহমদ আকাশ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কনক পাল অরুপ, সাবেক সদস্য সৌরভ দাস, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শামীম আলী, রুবেল আহমদ, রাসেল আহমদ, সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তুহিন আহমেদ, টুলটিকর ইউপি সদস্য গিয়াস আলম, টুলটিকর ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা আলম, টুলটিকর ইউপি আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কানন, কাঞ্চন, সবুজ, সাজু, শাকিল, রাহি, সুমন বাপ্পি, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল, কাওছার, নাঈম, আনাছ, রেজাউল, ওমু, শাহপরান থানা ছাত্রলীগ নেতা পংকি, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল, পাপ্পু আহমেদ, নাইম, সবুজ, সাইদুল, শামীম, জুন্নুন, ঝলক, কুদ্দুস, শরীফ, আতাউর প্রমুখ।