রেজিষ্টারী মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

রেজিষ্টারী মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন- অবৈধ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার একটি অমানবিক ও বর্বর সরকার। অবৈধ ক্ষমতার মোহে তারা মানবতাকে পদদলিত করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিরোধী মত দমনের নোংরা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারাগারে আটকে রেখেই সরকার ক্ষান্ত হয়নি। কারাগারে বিনা চিকিৎসায় গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বিএনপি এবং চিকিৎসকরা তাঁকে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। বরং পরিকল্পিতভাবে তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। অবৈধ সরকারের মধ্যে ন্যূনতম মানবতাবোধ থাকলে অবিলম্বে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে। কারাগারের ভিতরে আদালতকে প্রবেশ করিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে বিচার বিভাগকে তার কতটা ধ্বংস করেছে। বিএনপি শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাই দলের প্রধানের মুক্তির দাবীতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের আন্দোলনকে সরকার দুর্বলতা ভেবে নেত্রীর কারামুক্তি নিয়ে গড়িমসি করছে। এর পরিনতি ভাল হবেনা। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী মুক্ত করেই বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে যাবে। দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা।
শনিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবীতে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিষ্টারী মাঠে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। সমাবেশে জেলা ও মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, জেলা সহ-সভাপতি শাহজামাল নুরুল হুদা, একেএম তারেক কালাম, মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, জেলা উপদেষ্ঠা মাজহারুল ইসলাম ডালিম, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, মো: মইনুল হক, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, জেলা সাংগঠনিক আবুল কাশেম ও শামীম আহমদ, মহানগর দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, জেলা দফতর সম্পাদক এডভোকেট মো: ফখরুল হক, জেলা স্বাস্থ্য সম্পাদক আফম কামাল, তাতী সম্পাদক অহিদ আহমদ তালুকদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর সহ-দফতর সম্পাদক লোকমান আহমদ, জেলা সহ-দফতর সম্পাদক এম. এ মালেক, মহানগর বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক শেখ মঈনুদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী জাহানার ইয়াসমিন গোলাপী, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা নিগার সুলতানা ডেইজী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, শ্রমিক দল নেতা বাচ্চু মিয়া ও খোকন ইসলাম প্রমুখ।
মহানগর বিএনপির আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিনের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশিক উদ্দিন চৌধুরী, হাজী শাহাব উদ্দিন, জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, ওসমানী গনী, জেলা উপদেষ্ঠা শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, মহানগর উপদেষ্ঠা সৈয়দ বাবুল, জেলা উপদেষ্ঠা ইলিয়াস আলী মেম্বার, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মোর্শেদ, জেলা প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, মহানগর প্রকাশনা সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, জেলা ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাকিল মোর্শেদ ও ওলীউর রহমান ডেনি, মহানগর পরিবার পরিকল্পনা সম্পাদক লল্লিক আহমদ চৌধুরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ মিয়া, জেলা ধর্ম সম্পাদক আল মামুন খান, মহানগর স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: আশরাফ আলী, গণশিক্ষা সম্পাদক সাইদুর রহমান হিরু, ক্ষুদ্র ঋণ ও কুটির শিল্প সম্পাদক এজহারুল হক চৌধুরী মন্টু, জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে জেবুল হোসেন ফাহিম, খসরুজ্জামান খসরু, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, কাউসার চৌধুরী, আমিন উদ্দিন আমিন, এডভোকেট ইসরাফিল আলী, ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল লতিফ খান, সোহেল বাসিত, আমিনুর রশীদ খোকন, শাহ মাহমুদ আলী, ছবুর আহমদ, দেলোয়ার হোসেন জয়, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, ফাতেমা জামান রোজী, এনামুল হক মাক্কু, মফিজুর রহমান জুবেদ, রফিকুল ইসলাম, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, ফারুক আহমদ, ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, মোতাহির আলী মাখন, আব্দুর রহমান, আজির উদ্দিন আহমদ, শেখ কবির আহমদ, কামরুজ্জামান দিপু, জিয়াউর রহমান দিপন, গিয়াস আহমদ মেম্বার, এম. মখলিছ খান, শামসুর রহমান শামীম, দেলোয়ার হোসেন রানা, আব্দুর রহিম, আরিফ হোসেন, আশরাফ বাহার, আক্তার রশিদ চৌধুরী, ইসলাম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম লিমন, খলিল আহমদ, মঈনুল হক স্বাধীন, হাসান মঈনুদ্দিন, রায়হান আহমদ রুমেল, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুল্লাহ শফি শাহেদ, মোজাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, ওসমান গণি, বুরহান উদ্দিন রুমেল, খন্দকার ফয়েজ, বদরুল ইসলাম, কয়েস আহমদ, মঈনুদ্দিন, আলী আহমদ আলম, জামাল আহমদ খান, মাহফুজ আহমদ, জাকির হোসেন, ফাহিম আহমদ, আব্দুল মুকিত, জেলা ও মহানগর ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে তোফায়েল আহমদ, এনামুল হক, আব্দুল করিম জোনাক, জুবের আহমদ জুবের, আব্দুল হাসিব, এনামুল কবির চৌধুরী, মিনার হোসেন লিটন, রাইসুল ইসলাম সনি, দেলোয়ার হোসেন নাদিম, আশরাফ উদ্দিন রাজিব, ফাহিম আহমদ সৌরভ, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা, আবুল মুতাকাব্বির চৌধুরী, রুবেল ইসলাম, তানিমুর রহমান তানিম, সদরুল ইসলাম লোকমান, তাজুল ইসলাম সাজু, রুবেল আহমদ, আবুল হোসেন, ফয়জুর রহমান, হাবিব মির্জা, শামসুদ্দিন শামসু, আব্দুল হাদি জনি, এম. শিহাব আহমদ, মেহরাজ ভুইয়া পলাশ, মাসুম আহমদ হেলাল, হারুনুর রহমান নিপু প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন- সরকারে দেশের সর্বনাশ করে এখন বিএনপিকে সর্বনাশের খেলায় মেতে উঠেছে। তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীকে ফরমায়েসী রায়ে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখে ফ্যাসিবাদী সরকার তাঁকে পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আওয়ামী বাকশালী সরকার আইন ও মানবাধিকারের কোন তোয়াক্কা না করে আদালতকেই কারাগারে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে অনেক কাকুতি মিনতি করেছি, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করেছি কিন্তু সরকার তাতে কর্নপাত করেনি। সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবেনা, তাই আঙ্গুল বাকাঁ করতে হবে। নেত্রীর মুক্তির জন্য কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নেত্রীকে কারাগারে রেখে ৫ জানুয়ারীর মত কোন নির্বাচনের স্বপ্ন আর কোনদিন পুরণ হবেনা। কারণ বিএনপি অতীতের তুলনায় এখন অনেক বেশী শক্তিশালী। দেশনেত্রীর মুক্তি ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। আগামী দিনের সকল আন্দোলনের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য শহীদ জিয়ার সৈনিকদের সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন- ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় কারান্তরীণ তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলেও সরকার ন্যুনতম মানবিক দায়িত্ব পালন করছেনা। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার দেশনেত্রীকে পরিকল্পিতভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। কেন্দ্রীয় বিএনপিকে এখনই কঠোর কর্মসুচী ঘোষণা করতে হবে। তৃনমুল নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রের মায়ের মুক্তির আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সদ্য বিগত সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রমাণ করেছে বাকশালীদের কিভাবে পরাজিত করতে হয়। তাই সিলেট থেকেই অবৈধ সরকারের পতনের চুড়ান্ত আন্দোলনের সুচনা করা হবে। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃর্শত মুক্তি দিয়ে তাঁর প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বাকশালী সরকারকে চরম মুল্য দিতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এ বিভাগের অন্যান্য