শীত শেষে বাড়ে পক্সের প্রকোপ

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মৌসুমি কিছু রোগবালাইও উটকো ঝামেলা হিসেবে হাজির হয়। এ সময় শিশুদের নানা ধরনের রোগের মধ্যে চিকেন পক্স অন্যতম। চিকেন পক্সকে অনেকে গুটি বসন্তও বলে। চিকেন পক্স ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে অসুখ।

 

সংক্রামক হওয়ায় একজনের শরীর থেকে দ্রুত আরেকজনের শরীরে ছড়ায়। ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে শিশুরা আক্রান্ত হয়। চিকেন পক্স সাধারণত দুই থেকে আট বছরের শিশুদেরই বেশি হয়। শিশুদের এই রোগটি হওয়ার প্রবণতা বেশি হলেও যেকোনো বয়সেই পক্স হতে পারে।

 

কারণ

যে ভাইরাসের মাধ্যমে রোগটি হয় তা হলো ভেরিসেলা ডোস্টার ভাইরাস। পক্স হলে শরীরে জ্বর হয় এবং সারা গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এই ফুসকুড়ি তীব্রভাবে চুলকায়।

লক্ষণ

* দুর্বলতা

* মাথা ব্যথা

* সর্দি

* জ্বর ভাব

* ঠাণ্ডা লাগা

* সারা শরীরে ব্যথা

ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রে একই রকম লক্ষণ দেখা যায়।

 

তবে পূর্ণবয়স্কতের লক্ষণগুলো তীব্র হয়।

যা মেনে চলবেন

রোগীকে সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। রোগীর ব্যবহৃত পোশাক, গামছা যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে। পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিন।

 

রোগীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র আলাদা রাখুন এবং নিয়মিত পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে নিমপাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল করতে পারেন।

কষ্ট হলেও শরীর চুলকানো থেকে বিরত থাকুন। চিকেন পক্সের ক্ষত খুঁটলে স্থায়ীভাবে দাগ বসে যাবে। তবে এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে দাগ এমনিতেই চলে যায়।

সাধারণত বিশেষ কোনো ধরনের ওষুধের প্রয়োজন হয় না। নিয়ম মেনে চললে ১০ থেকে ১৫ দিনেই পক্স ভালো হয়ে যায়।

জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত চুলকানোর জন্য অ্যান্টি-হিসটামিনজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।

সঠিক চিকিৎসা নিলে তা এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। আক্রান্ত শিশুদের মাছ, মাংস, ডিম, দুধ বেশি করে খাওয়াতে হবে। তবে অ্যালার্জিজাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না। এ সময় বেশি করে পানি পান করতে হবে। ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার ও শাক-সবজি খেতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য