ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, আতংকে শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক: কোমলমতি শিশুদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। আতঙ্কে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। এর মধ্যে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বালাগঞ্জ আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই বেহাল। দীর্ঘদিন যাবৎ ঝরাজীর্ণ হয়ে আছে বিদ্যালয়টি। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় ৬৬৩ জন থেকে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থী।

সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানো হলেও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা বলে জানান শিক্ষকরা। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনে দ্রুত নতুন করে নির্মাণের কাজ না হলে এতগুলা শিক্ষার্থী নিয়ে কি করবেন ভাবছেন শিক্ষকরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১২৯ বছর আগে ১৮৯০ সালে নির্মাণ করা হয় বিদ্যালয়ের এই ভবনটি। কয়েকবার কাজ করানো হলোও এখনো নেওয়া হয়নি বড় কোন সংস্কারের কাজ।

চার শ্রেণিকক্ষের অবস্থা খুবই বেহাল। উপরে টিনসেডের এই ভবনটিতে বৃষ্টি দিলে পানি ফুটো ফুটো হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের বই খাতা-কলম ব্যাগ সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। টিনগুলি এমনভাবে রয়েছে ঝড় বৃষ্টির সময় হঠাৎ যেন টিন খুলে পড়ে যাবে সে আতঙ্কে থাকে শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুমিত বলেন- আমরা বেশ কয়েকবার লিখিতভাবে ভবনটির অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছি।

কিন্তু সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন আর এটা সংস্কারের উপযুক্ত নয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে নতুন ভবন নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরী।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন- একটু বৃষ্টি হলেই উপর থেকে পানি পরে ছাত্র-ছাত্রীদের বই খাতা-কলম সব কিছু ভিজে যায় এবং তারা সবসময় আতংকের মধ্যে থাকে।

ভবনটি যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এই অবস্থায় তাদের পড়ালেখার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তাদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল রকিব ভূইয়া বলেন- এই ভবনটি বরাদ্দ চলে এসেছে শুধুমাত্র টেন্ডারের অপেক্ষায়। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে পূরাতন ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য