হবিগঞ্জে শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা: ৪ জনের যাবজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে নৌকায় নিয়ে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় বাদির স্বামীসহ ৪ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে রায় ঘোষণা করেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্ল্যা চৌধুরী।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার বাশডর গ্রামের বাসিন্দা ও নিহতের বোনের জামাই (বাদির স্বামী) সাইফুল ইসলাম (৩২), নবীগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর এলাকার মৃত আব্দুন নূরের ছেলে আব্দুল মন্নাফ (৫২), একই এলাকার বজলা মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫) ও আনমনু গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে রাজু আহমেদ (৪৫)। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, নবীগঞ্জ পৌরসভার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা আরব আলীর কন্যা রৌশনা খাতুন সাথে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন সাইফুল ইসলাম। এক পর্যায়ে তার শ্যালিকা স্থানীয় স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর ফাতেমা বেগমের প্রতি কুনজর পরে সাইফুলের। ২০০২ সালের ২৬ আগস্ট রাতে সাইফুল ও তার সহযোগিরা ফাতেহাকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী নদীতে একটি নৌকায় নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরদিন নিহত নারীর বোন রৌশনা খাতুন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তৎকালিন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় প্রদান করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য