সিলেটে রমজানকে সামনে রেখে আগোরায় বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়

মবরুর আহমদ সাজু:

পিয়াজ, কাঁচামরিচ, লেটুসপাতা, চালতা থেকে শুরু করে ঝাড়ু অথবা শিশুর খেলনা— কি পাওয়া যায় না  সিলেটের আগোরায় সুপারশপে। বাজার করার প্রচলিত ধারণাই পাল্টে দিয়েছে এ সুপারশপ। সব ধরনের পণ্য এক ছাদের নিচে নির্ধারিত দামে পেয়ে যাওয়ার কারণে নাগরিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে আগোরায়। কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহূত পণ্যসামগ্রীর সবকিছুই মিলছে সুপারশপে। কাঁচাবাজারের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ থেকে ক্রেতাদের মুক্তি দিয়েছে সিলেটের সুবিদবাজারে  প্রতিষ্ঠিত এই আগোরা শাখাটি।আধুনিক জীবনে সুপারশপের প্রতি মানুষের আগ্রহ যেমন বাড়ছে তেমনি অতিরিক্ত মূল্য, মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রীর কারণে বিভিন্ন সুপারশপের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে প্রচুর। সব মিলিয়ে নাগরিক জীবনে সুপারশপ এখন আনন্দ-বেদনার অনুষঙ্গ। এখন কেনাকাটা সহজ হয়েছে। এমনকি ঘরে বসেই অর্ডার দিয়ে বাজার করতে পারছে মানুষ। কিন্তু তার জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। আর ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটার কারণে পণ্য কেনার লাগাম থাকছে না। সুতারাং এই যখন বাস্তবতা তখন সুপার ষ্টোর লিমিটেড সিলেট শহরের বাসিন্দাদের জন্য সুলভ মূল্যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও মানসম্পন্ন পণ্যেগুলোকে একই ছাদের নীচে নিয়ে আসার লক্ষ্যে চালু করেছে আগোরা সুপার সপ। ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা গুলশানের নাগরিকদের জন্য ২০০২ সালে গুলশান-১ এর আর.এম. সেন্টারে চালুর পর এবছরই  সিলেটে  এই প্রথম শাখা চালু হয়।আগোরা সিলেটের ইনচার্জ সাইদুল করীম রেজা জানান ঢাকার পর সিলেটে আগোরা হবে গনমানুষের আস্থা ও খাদ্যে নির্ভরতার প্রতীক তিনি সিলেটাবাসীকে আগোরায় ভালো মানের পণ্যে পাওয়া যাবে বলে আস্বস্থ করেন। তিনি বলেন ,আমি মেনে করি সিলেটের আগোরা হতে পারে সিলেটবাসীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা, উন্নত মান, ন্যায্যমূল্য ও মনোরম পরিবেশে কেনাকাটার আশার স্থল।সিলেট বাসী একটু আরাম প্রিয়মানুষ তাই আসা করি আমাদের শপ হবে সকলের নির্ভরতার প্রতীক।

স্বস্তিতে দেখেশুনে, ঘুরেফিরে কেনাকাটার পরিবেশ সুপারশপমুখী করছে মানুষকে।

আসন্ন রমজান  কে সামনে রখে   বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা ফারজানা সুলতানা সুইটি এসেছেন এশপে কেনাকাটা করতে। তার সাথে কথা বললে তিনি জানান ,  আগোরা প্রচারনা কম সিলেটে জানতে পারছি আগোরা সিলেটের সুবিদ বাজারে চালু হয়েছে আগে কখনো আসিনি এবার আসছি এই শপে কেনাকাটা করতে পন্যের মান অনেক ভালো তিনি জানান  যেহেতু আমি স্বপ্নর কাস্টমার এবং কাজিটুলার বাসিন্দা তাই এই দোকানে আসছি পন্যের মান যাচাই করার জন্য   আগোরার শুভকামনা করে  ্এই শিক্ষিকা জানান আশা করি আমি  এখন থেকে  এ শপের নিয়মিত  কাস্টমার হবো এখন থেকে।

সিলেট  মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাবেরা , তান্নি, মিথিলা থাকেন নগরীর একটি মেসে রমজান মাস উপলক্ষ্যে সাবেরা ও তারবন্ধুরা এসছেন বাজার করতে কথা হয় তাদের সাথে তান্নি, মিথিলারা জানান মীনা বাজার,স্বপ্নর চাইতে সিলেটের আগোরায় প্রতিশ্রুতিশীল সেবা ও পণ্য পাচ্ছেন?তারা বলেন রমজান মাসে সিলেটের অভিজাত শপ নিয়ে আতঙ্কিত থাকেন আমি মনে করি এখানে আস্থার আড়ালে কোনো প্রতারণা নেই ।

রেজা জানান সিলেটবাসীকে  ধরনের ভালো সেবা দিতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সুপার শপ আগোরা তিনি জানান স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করা এ দোকানে।সরেজমিন ঘুরে দেখাযায় সিলেটের সুবিদ বাজারস্থ আগোরা  আউটলেট। প্রায় ২০.০০০ (বিশ হাজার) রকমের পণ্যের সংগ্রহ থেকে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য কিনতে পারেন এক জায়গা থেকে। এখানে প্রতিদিনের কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে গৃহস্থালী তৈজসপত্র পর্যন্ত নানা পদের পণ্য পাওয়া যায়। ক্রেতা সাধারণের চলাচলের জন্য রয়েছে বেশ প্রশস্ত প্যাসেজ। বিভিন্ন তাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে নানা রকম পণ্য। ক্রেতারা আউটলেটের নিজস্ব ট্রলী বা বাস্কেট নিয়ে সাচ্ছন্দে ঘুরে ফিরে পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন। তাছাড়া আউটলেটের বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে প্রশিক্ষিত গাইড ও বিক্রয়কর্মী যারা যেকোন প্রয়োজনে ক্রেতাদের সহযোগীতা করতে সদা প্রস্তুত থাকে। এখানে প্রাপ্ত সকল খাবার হালাল। মোট ০৩ টি কাউন্টারের মাধ্যমে ক্রেতাদের মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে। মূল্য পরিশোধের জন্য নগদ ও কার্ড উভয় ব্যবস্থা প্রযোজ্য। এছাড়া রয়েছে আগোরা সদস্য কার্ড, যার মাধ্যমে সদস্যরা হ্রাসকৃত মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারে।এখানে সব ধরনের মাছ-মাংস পাওয়া যায়। ক্রেতাদের চাহিদামত তারা মাছ-মাংস কেটে দেয়। মাছ-মাংস কেঁটে দেওয়ার জন্য কোন প্রকার চার্জ দিতে হয় না।জানাযায়, এখানে ফ্রোজেন মাছ পাওয়া যায়। ফ্রোজন মাছের মধ্যে রয়েছে – রুই মাছ, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, রূপচাঁদা মাছ, দেশি ছোট মাছ ইত্যাদি।

জল্লারপার এলাকার বাসিন্দা লতিফা খানম বলেন, ভিড় ঠেলে বাজারে গিয়ে মাছ-মাংস কেনা আমাদের জন্য খুবই মুশকিল ছিল। সুপারশপের কারণে এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলেছে।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য