সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত ও অপসারণে উদ্যোগ নেই
সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণভবন ও স্থাপনা। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এর বিল্ডি কোড অমান্য করেই অনেক স্থানীয় ক্ষমতাবানদের সহযোগীতায় গড়ে তুলছেন এসব স্থাপনা। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা নগরীরর অনেক ভবনই যেন মৃত্যুফাঁদ। সরেজমিনে দেখা যায় নগরীর দক্ষিণ সুরমার খোজারখলা আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলা হচ্ছে একটি চারতলা বিশিস্ট ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক ভবন। প্রতিবেদক ভবনটির মালিকের সাথে কথা বলতে গেলে জানা যায়,মালিক দেশের বাহিরে অবস্থান করছে ন। বহুতুল ভবনটি একদম রাস্থা ঘেসে হওয়ায় যে কোন সময় ঘটতে পাড়ে বড় ধরনের দূড়ঘটনা। মালিক পক্ষের দায়িত্বে থাকা আনুয়ার হুসেন সাথে কথা বলে জানাযায়, ভবনটি ২০১৬ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্ত সিটি কপরোশন এর নিয়ম অমান্য করে, ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে নির্মান কাজ করায় সিসিক কতৃপক্ষ ও স্থানীয়য় কাউন্সিলর পিন্টু নিষেধাজ্ঞা করেন। এতে কাজ বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ কিন্ত, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সিসিক কতৃক কোন অনুমোদন না নিয়েই পুনরায় কাজ শুরু করা হয়। প্রতিবেদক সিসিক এর অনুমোদন এর কাগজপত্র আছে কি না জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা আনুয়ার হুসেন কৌশলে ছটকে পড়েন। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মুসলিম মিয়া জানান, বহুতল ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু থেকেই অনিয়ম আর ঝুঁকিপূর্ণ কাজ দেখে আসছেন তিনি বলেন এত বড় একটি ভবনের কাজে ফাইলিং করা হয় নি কোন ইঞ্জিনিয়ার কেও দেখা যায় নি, স্থানীয় রাজমিস্ত্রি দ্বারা ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু খোজারখলাই নয় নগরীর ভিবিন্ন এলাকায় এমন অনিয়ম দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের জন্য দেশের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সিলেটে গত দুই দশকে নীতিমালা না মেনেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য বহুতল ভবন। এছাড়া পুরনো ভবনগুলোতেও নেই ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থা। এর ফলে নগরীর বেশিরভাগ ভবনই রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হককে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।