ছুটির দিনে পদচারণায় মুখোর একুশে গ্রন্থমেলা
অষ্টম দিনেই জমে উঠেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯। শুক্রবার দুপুরে বই মেলায় গিয়ে প্রচুর মানুষের ভীড় দেখা গিয়েছে। তবে বইমেলার প্রথম শিশুপ্রহর উপলক্ষে ক্ষুদে পাঠকদের জন্য তৈরি করা শিশু চত্বরেই বেশি ভীড় লেগেছিলো।
শুক্রবার বইমেলায় ঘুরে দেখা যায়, ছুটির দিন উপলক্ষে সকাল ১১টায় বই মেলার দ্বার উন্মোচনের পরপরই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রচুর লোকসমাগম হতে থাকে। মেলায় এসে কেউ বই দেখছেন, কেউ বই কিনছেন। কেউ আবার বিভিন্ন নান্দনিক স্টলের সাথে ছবি তুলছে। একই অবস্থা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। সেখানে ও প্রচুর লোকের সমাগম হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। পূর্ব আকাশের সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়তেই বইমেলার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে মানুষের ঢল দেখতে পাওয়া যায়।
মেলায় ঘুরতে আসা ফয়সল আহমদ মুন্না বলেন, আমি সিলেট থেকে বই মেলায় এসেছি, তাছাড়া ‘এর আগেও বইমেলায় এসেছি। এবার অনেক ভালো লাগছে।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইয়ের পাঠক দিন দিন বাড়ছে ’অমর একুশে বইমেলা আমার কাছে অনেকটা উৎসবের মতো ব্যাপার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইয়ের আগ্রহের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বাঙালি জাতির সত্তা। তাই এ বিষয়টি আমরা জানতে চাই পুরোপুরিভাবে। সে জন্যেই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ বইগুলোর প্রতি আগ্রহ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল কাদের বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘মেলায় আজকে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বই আরও পরে কিনবো।’ বাবার সাথে বই কিনতে মেলায় আসা শহীদ আনোয়ারা স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফারিহা আহমেদ বলে, ‘মেলায় এসে অনেক ভালো লেগেছে। আব্বুর সাথে বই মেলায় এসে প্রতিবছর বিভিন্ন রকমের বই ক্রয় করি। এবার ভূতের ডাক্তার, পান্তাবুড়ি, গাছভূত বই কিনেছি। আরো কিছু বই কিনব।’
বইয়ের দাম সহনীয় বলে জানান ফারিহার বাবা ফয়েজ আহমেদ। বইয়ের দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও কাগজের ব্যবসায়ী। পুরান ঢাকার নয়া বাজারে আমার কাগজের ব্যবসা। সে অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়, দু’-একটি স্টল ছাড়া অন্য সব স্টলে সাধ্যের মধ্যেই বই কেনা যাচ্ছে।’
দিব্য প্রকাশের বিক্রয়কর্মী মুর্তজা আবির বলেন, ‘এখনও মেলায় আশানুরূপ বিক্রি হয় নি। সবাই এখনও বই দেখছে, কিনছে না।’ তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন