আয়োজকদের ৭ দিনের শোকজ : শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মেলা বন্ধে মামলা
সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজকদের ৭ দিনের শোকজ করেছেন আদালত। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী ) সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বন্ধের জন্য জনস্বার্থে সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। স্বত্ব মামলা নম্বর-১৯/২০১৯। পাশাপাশি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মেলা বন্ধের নিষেদাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। বাদী দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ নম্বর আদেশের ১ নম্বর নিয়ম মতে একটি আবেদনের বর্ণিত কারণে বিবাদী সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হাসিন আহমদ, মেলার সমন্বয়কারী ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য এম. এ মঈন খান বাবলুর বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীণ আদেশসহ এক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আয়োজকদের বিরুদ্ধে কেনো অস্থায়ী নিষেদাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হবে না মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ তুজাম্মুল আলী বলেন- মেলা বন্ধের জন্য জনস্বার্থে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে (সদর) স্বত্ব মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মেলা বন্ধের নিষেদাজ্ঞারও আবেদন করলে আদালত বিবাদী পক্ষকে নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ.এইচ.ইরশাদুল হক জানান- প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শোকজ মানেই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা। বিবাদী পক্ষের উচিত তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখে আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আদালতের নির্দেশ মানা।
উল্লেখ্য, নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে ৫ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বন্ধের জন্য জনস্বার্থে সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) নগরীর খাসদবীর এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ ইয়ারব আলী বাপ্পী জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মূল বিবাদী করা হয়েছে- সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হাসিন আহমদ, মেলার সমন্বয়কারী ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য এম. এ মঈন খান বাবলু।
একই মামলায় মোকাবিলা বিবাদী করা হয়েছে- সিলেট জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।