সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের প্রার্থিতা ঘোষণা
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলায় প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট প্রেসক্লাব, জেলা প্রেসক্লাব ও সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে পৃথক তিনটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রার্থী হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। সুজাত আলী রফিক বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কর্মী, সবসময় সক্রীয়ভাবে দলের জন্য কাজ করেছি, অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভবিষ্যতে আর নির্বাচন করবেন না বলে জনসমক্ষে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই তাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলাম এবং নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করেছি। তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদে আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে দলের একজন সক্রীয় কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমি গ্রামের সন্তান হিসেবে গ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখের কথা বুঝি। গ্রামের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি কাজ করতে চাই। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শহরের মানুষ উল্লেখ করে সুজাত আলী রফিক বলেন, আশফাক আহমদ সাহেব ভোট ট্রান্সফার করেছেন। মূলত তিনি শহরের মানুষ। আমি গ্রামের সন্তান। এ হিসেবে মানুষ আমাকে ভালবাসে। তাদের দাবি আদায়ে অতীতে স্বোচ্চার ছিলাম, ভবিষ্যতেও তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। নিজের রাজনীতির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৮১-৮২ সাল থেকে আমি ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হই। স্বৈরাচার বিরোধি আন্দোলনে জড়িত ছিলাম। ৮৭ সালে এবং ৯৪ সালে আন্দোলন করতে গিয়ে শাসকের চক্ষুশুল হয়ে কারাবরণ করেছি। রাজনৈতিক জীবনে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আমার সক্রীয় অংশগ্রহণ ছিল। সিলেট সদর উপজেলার উন্নয়নে নিজের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সদরকে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা সিলেট সদর। কিন্তু এখানে ফায়ার ব্রিগেড নেই, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভাড়া বাড়িতে চলে। পশু হাসপাতাল নেই, বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব রয়েছে। নদীভাঙন সমস্যা, খেলার মাঠের সংকট রয়েছে। এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষাবিদ সুজাত আলী রফিক বলেন, সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয়দের চাকুরীর সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। আমি সেদিকে বিশেষ নজর দেবো।তিনি বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় সদর উপজেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়ানো প্রয়োজন। আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থায় জোর দেওয়া এবং আইসিটি সেন্টারের মাধ্যমে তরুণদের কর্মক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে আমার ভূমিকা হবে মূখ্য। তিনি বলেন, সিলেট সদর উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠায় আমি অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ সদর উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী নতুন কলেজ প্রতিষ্ঠায় আমি জোর দেব। নিজেকে তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করেন সুজাত আলী রফিক। একই সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে কাজ করার কথা বলেন তিনি। নির্বাচনে তিনি দলীয় নেতাকর্মী, শুভাকাক্সক্ষীসহ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ দাস, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শাহনূর, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট নূরে আলম সিরাজী, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি জাফর চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক জমির উদ্দিন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ সুবল চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির উদ্দিন আহমদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সাজ্জাদ মিয়া, যুবলীগ নেতা মোয়াজ্জিন হোসেন, কুতুব উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শাহজাহান কবির, তাঁতী লীগের আহ্বায়ক দিলওয়ার হোসেন, কান্দিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদ আলী, হাটখোলা ইউনিয়ন সভাপতি খুর্শিদ আহমদ, জালালাবাদ থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক উস্তার আলী, জালালাবাদ ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আশ্রব আলী, মোগলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার মিয়া, কামিল ইবনে রহমান, বাবুল মিয়া, মনফর আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহীদ আকিব অপু, শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন প্রমুখ।