মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ভোট দিয়ে তরুণরা ইতিহাসের অংশিদার হবেন: ড.মোমেন
বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময় সভায় ড. এ কে আব্দুল মোমেন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশে প্রায় আড়াই কোটি তরুণ ভোটার; যারা প্রথম বারের মতো ভোট দেবেন। আমি এবং আমার দল বিশ্বাস করি দেশের তরুণ ভোটারগণ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে তাদের প্রথম ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে ইতিহাসের অংশিদার হবেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। দুর্নীতি, জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে এবং একটি ‘মডেল ইকোনমিক দেশ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তিনি রোববার সিলেট মহানগরী ও সদর উপজেলায় দিনভর বিভিন্ন এলাকায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, সরকারের এই সফলতা ও উন্নয়নের গতি অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই আমরা মধ্য আয়ের এবং পর্যায়ক্রমে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করবো। দেশের এই অগ্রযাত্রায় তরুণ প্রজন্মকে অংশিদার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সিলেট-১ আসনে মোট ভোটের ২২ শতাংশ নতুন ভোটার রয়েছেন। তরুণ এই বিশাল সংখ্যক ভোটারের জন্য এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্ব বহন করে। তাই, এবারের নির্বাচন শেখ হাসিনা তরুণ প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
ড. এ কে মোমেন বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও তার জোট বিজয়ী হলে দেশের বিরাট সংখ্যক যুব সমাজকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। এ জন্য তরুণ প্রজন্মকে এবারের নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব ও দায়িত্ব পালন করবে হবে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে মোট ভোটারের আড়াই কোটি হচ্ছে তরুণ ভোটার। আগামীদিনে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে দেশের তরুণ সমাজকে কাজে লাগানোর জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ইতোমধ্যে চল্লিশ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
তিনি বিগত ১০ বছরে সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল করেছেন। এটা অনেক আগে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে ব্যাপারে কেউ উদ্যোগ গ্রহণ করার সাহস করতে পারেনি। শেখ হাসিনা সকলের হাতে মোবাইল তুলে দিয়েছেন। এর ফলে অতি সহজে সবধরণের তথ্য আদান প্রদান সহজলভ্য হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। এলাকায় এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
সকালে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে পরিবহন শ্রমিকদের সাথে, দুপুরে নবাব রোডে পিডিবি’র সিবিএ-এর আওতাভূক্ত জাতীয় শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে, বেলা আড়াইটায় নগরীর মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী সমাবেশ, সন্ধ্যায় মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ, রাতে সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মতবিনিময়, পরে নগরীর কাজীটুলায় ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত মতবিনিময় এবং নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ড. মোমেন।
পৃথক এসব সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটি সদস্য, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, মনসুরুজ্জামান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্ত, সিলেট মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা জুবের খান, বিধান কুমার সাহা, এডভোকেট মোস্তফা শাহীন চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, হাটখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোশাহিদ আলী, ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক রাজা, আওয়ামীলীগ নেতা কামাল আহমদ কামরান, কামাল বখত, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি গৌছুল আলম গেদু, সাধারণ সম্পাদক কানা লাল দাস, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিক্রম কর স¤্রাট, সাদ আহমদ লিটন, এডভোকেট শন্তু দাস, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম আতিক, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আমীন, শ্রমিকলীগ নেতা হাজী মো. বাবুল মিয়া, সিবিএ নেতা আব্দুল জলিল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বিদ্যুৎ উন্নয়ন শাখা) বিধু ভূষণ চক্রবর্তী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি আফসার আজিজ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বারী, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব বাবলু, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শাহনূর, মহানগর যুবলীগ নেতা শামীম ইকবাল, মিজান পারভেজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহাত তরফদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান, আব্দুল আলীম তুষার, জাকিরুল আলম জাকির, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সভাপতি তানিম আহমদ, শহীদ আকিব অপু, মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অরুণ দেবনাথ সাগর, বর্তমান সভাপতি একেএম মাহমুদুল হাসান সানী, সাধারণ সম্পাদক মিফতাহুল ইসলাম লিমন, সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ঐক্যপরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সেলিম আহমদ ফলিক, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ সিরাজ, ট্রাক-পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর প্রমুখ।