সিসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে ক্লাস বর্জন
সিলেটে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ..
মবরুর আহমদ সাজু:
সিলেটের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে চলেছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ বাহার উদ্দিন আকন্দ। তিনি এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ থাকা সত্বেও স্কুলের কাজ চালিয়ে বহাল তবিয়তে স্বপদে থেকে দাপট খাটাচ্ছেন। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না। শিক্ষক আকন্দের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম, রেজুলেশন জালিয়াতের ঘটনা সহ তার আর্থিক দুর্নীতি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিকে’র) সাবেক সচিব সাবেরা আক্তার। তিনি শিক্ষক আকন্দের বিভিন্ন অনিয়ম জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করলে বা.উ. আকন্দকে অভিযুক্ত করা হয়। এই তদন্তে প্রমাণিত ও অভিযুক্ত আকন্দের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সিলেটের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম করে চলেছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ বাহার উদ্দিন আকন্দ। তিনি এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ থাকা সত্বেও স্কুলের কাজ চালিয়ে বহাল তবিয়তে স্বপদে থেকে দাপট খাটাচ্ছেন। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না। শিক্ষক আকন্দের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম, রেজুলেশন জালিয়াতের ঘটনা সহ তার আর্থিক দুর্নীতি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিকে’র) সাবেক সচিব সাবেরা আক্তার। তিনি শিক্ষক আকন্দের বিভিন্ন অনিয়ম জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত করলে বা.উ. আকন্দকে অভিযুক্ত করা হয়। এই তদন্তে প্রমাণিত ও অভিযুক্ত আকন্দের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালে অবস্থিত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা. উ. আকন্দের বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনা প্রশাসনিক তদন্তে ধরা পড়ে। সিসিক পরিচালিত এই স্কুলটির সুনামের বদলে এখন দুর্নাম ছড়াচ্ছে। স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কর্মচারী ও অভিভাবক মহল আকন্দের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। তারা সকলেই আকন্দের অপরাধের দরুন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। বিগত ১১ জানুয়ারী তারিখে সিসিকের সাবেক সচিব সাবেরা আক্তার স্বাক্ষরিত একটি পত্রে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা উ আকন্দ একই তারিখে দু’টি কার্যবিবরণী সভার মধ্যে একটিতে তৎকালীন সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিনা অনুপস্থিতিতে স্বাক্ষর দেয়া হয়। ওই তারিখে কামরা বিদেশে ছিলেন। একই তারিখে আরেকটি কার্যবিবরণী সভায় দাতা সদস্য এড. আব্দুল মালেকের স্বাক্ষর দেখানো হয়। অত্র বিদ্যালয়ের দুটি কার্যবিবরনী প্রস্তুত করা সম্পর্কে কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্য দিতে পারেননি দুর্নীতিবাজ শিক্ষক বা উ আকন্দ। একই সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসের বিনা বেতনে মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করেছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষিকা রেহেনা বেগম। একই সালের ১৭ আগস্ট তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় ওই শিক্ষিকার ছুটি মঞ্জুর করা হয়। পরবর্তীতে ওই শিক্ষিকার শূন্য পদে রাখি বেগম নামে একজন সহকারী শিক্ষিকা নিয়োগ করা হলেও ছুটিতে থাকা শিক্ষিকা বেহানা বেগমের নামে বেতন উত্তোলন করে তিনির নামে স্বাক্ষর দেখানো হয় বেতন বইয়ে। অথচ রেহানা বেগম ওই সভায় বলেন, বেতন বইয়ে তিনি স্বাক্ষর কিংবা বেতন উত্তোলন করেননি। এসব জালিয়াত ও অনিয়মের কারণে সভায় বা উ আকন্দকে জেরা করলেও তিনি জবাব দিতে ব্যর্থ হন।
অনিয়ম, জালিয়াতির অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন পরিচালিত মির্জাজাঙ্গাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তারা ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিন আকন্দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষকরা বলেন, বিদ্যালয় সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ, বিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিন আকন্দ। তার বিরুদ্ধে তদন্ত হলেও স্বপদে বহাল রয়েছেন তিনি। যে কারণে দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের অপসারণ চান তারা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নন্দিতা দেব, সুলতানা বেগম, মুরাদ উদ্দিন, এবিএম মুরাদ খান, সঞ্জিতা চক্রবর্তী, মঈন উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকা আত্মসাত করেছেন প্রধান শিক্ষক। ভুয়া রেজুলেশন সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে তিন বার বেতন বাড়িয়েছেন। এমন গুরুতর অপরাধের পরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। যে কারণে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির কয়েক শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তির পর থেকে স্যাররা তিন বিষয়ের বেশি ক্লাস করান না। তাদের মন মর্জি অনুসারে ক্লাসে আসা-যাওয়া করেন। ক্লাসে পড়ালেখা হবে কি-না এ নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।