সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ২ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অবনী মোহন দাস, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সামসুুল ইসলাম, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল হক, সিলেট এমসি কলেজের সাবেক ভিপি প্রবাসী নেতা ইকবাল হোসেনও আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অনুকুল তালুকদার ওরফে ডাল্টন।

সামছুল হক বলেন আমি দিরাই শাল্লার প্রতিটি এলাকা ঘুরে দেখেছি এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়। ইকবাল হোসেন বলেন আমি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে আসছি, দিরাই শাল্লার আওয়ামী লীগ কয়েক ব্যক্তির হাতে জিম্মি, আমাদের সাংসদ রাজনীতিতে অর্বাচিন এবং বয়সের ভারে নতজানু, তাঁকে দিয়ে বৃহৎ হাওরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়,এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়, আমরা ৫জন মনোনয়ন প্রত্যাশী আজ পরিবর্তনের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সামসুল ইসলাম বলেন দিরাই শাল্লার আওয়ামী লীগ কয়েক সুবিধাবাদীর হাতে জিম্মি, তাদের কাছে দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের কোনো মুল্যায়ন নেই, যুগ যুগ ধরে তারা দলকে ব্যবহার করে নিজের আখের ঘুচিয়েছেন, আমাদের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুপস্থিতে আমরা অভিভাবক শুন্য হয়ে পড়েছি, আমি দিরাই শাল্লার প্রতিটি এলাকা ঘুরে দেখেছি এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়, তাই পরিবর্তনের শপথ নিয়ে আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, গত উপনির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ছিলাম দলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করি। অবনী মোহন দাস বলেন আমাদের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দীর্ঘ রাজনীতিতে কোনো নেতা সৃষ্টি করেননি, যার কারনে দলের আজ এ অবস্থা, জয়াসেনগুপ্তা একজন গৃহিনী, তাঁকে দিয়ে দিরাই-শাল্লবাসীর উন্নয়ন সম্ভব নয়, এলাকাবাসী পরিবর্তন চান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এলাকাবাসীর পরিবর্তনের দাবি পৌছে দিতেই আমাদের আজকের পরামর্শ সভা, আমরা জেলা এবং বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে অচিরেই প্রধানমন্ত্রী সহ দলের নীতি নির্ধারকদের সাথে দেখা করে পরিবর্তনের বিষয়টি জানাব