দিরাই শাল্লা-২ আসনে এড.শামসুল ইসলাম

মবরুর-সাজু :

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই, শাল্লা)  অতীতে এ আসনে নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি দ্বৈত লড়াই হতো আওয়ামী লীগের প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও বিএনপির নাছির উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে। সুরঞ্জিতের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে এখন এ আসনের সংসদ সদস্য। রাজনীতিতে নবাগত ও বার্ধক্যের ভারে ন্যুব্জ জয়া সেন দলের ‘খাই খাই’ পার্টির লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্র যদি তা আমলে নেয় তবে আগামী নির্বাচনে বিকল্প প্রার্থী আসতে পারে এ আসনে। আর সেই শূন্যস্থান পূরণে জোরেশোরে মাঠে রয়েছেন সিলেট জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্ভাব্য এই প্রার্থীকে জয়া সেনের বিকল্প হিসেবে দেখছেন দলের বড় একটি অংশের নেতা-কর্মীরা। এই আসনে বরাবরের মতো এবারও বিএনপির একক মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী। আওয়ামী লীগ যাকেই প্রার্থী করুক না কেন, নির্বাচনে তাকে নাছিরের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে নামতে হবে।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ২ আসনেই নিজ দলের নবীন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চ্যালেঞ্জ জিতে চূড়ান্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে হবে প্রবীণদের। সংসদীয় আসনে প্রবীণদের পাশাপাশি এবার মাঠে রয়েছেন শক্তিশালী অনেক নবীন মনোনয়নপ্রত্যাশী।
নানা কারণে অনেক আসনেই মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের প্রবীণরা। নির্বাচন নিয়ে এমন জটিল সমীকরণ থাকায় এবার আগাম পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য ফলাফল নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। এ জেলায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছে অনেক নেতারা তবে ভোটারের পছন্দের প্রার্থী অনেকেই এদিকে পরিবর্তনের প্রত্যাশায় জনগণের ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় আমি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনসেবা করতে চাই । এলাকার জনসাধারণ কে সাথে নিয়ে শিক্ষা,চিকিৎসা,বাসস্থানসহ সামাজিক নিরাপত্তার বলয় সৃষ্টি করে উন্নয়নের মাঝে মানব সেবা কে আমি ইবাদত মনে করি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনামগন্জ ২ তথা দিরাই শাল্লা আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তরুণদের জনপ্রিয় মুখ,এডভোকেট শাসুল ইসলাম কথাগুলি বলেছিলেন । তাঁর আরেকে টি পরিচয় রয়েছে তিনি মুক্তিযুদ্ধা ও রাজনীতি পরিবারের জন্ম নেয়া এলাকার কৃতি সন্তান হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে এলাকায় বেশ সমাদৃত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করা এই তরুণ নেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরনজিৎ সেনগুপ্তর মৃত্যুর পর আসনটি খালি হলে উপনর্বিাচনে প্রার্থী হবার জন্য মনস্থির করেছিলন । কিন্তু প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় ও দলীয় স্বার্থে উপ-নির্বাচনে ড. জয়া সেনগুপ্ত কে ছেড়ে দেন উপরোক্ত কথাগুলি বলেছিলেন, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও দিরাই শাল্লা ২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী সংসদ সদস্য এডভোকেট শামসুল ইসলাম।

সুতারাং এই যখন প্রেক্ষাপঠ ,তখন দীর্ঘদিন পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসায় গ্রামীণ এলাকার লোকজন উৎসাহ উদ্দিপনায় জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। পছন্দের প্রার্থী কে ভোট দিতে? তবে জানা যায় এই ২ আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই। এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে অনেক বিষয় অর্ন্তভ’ক্ত করছেন প্রার্থীরা। সকালের সময়ের সাথে একান্ত সাক্ষাতে এডভোকেট শামসুল ইসলাম জানান রাস্তা-ঘাট সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, যানজট নিরসন, পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড, বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণসহ যাবতীয় নাগরিক সেবা নিশ্চিতের জন্য তিনি জনপ্রতিনিধি হতে চানআর ভোটাররা চাইছেন তাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিতে জনবান্ধব ও অপেক্ষাকৃত ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদেরই সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করতে চান তারা। এ দিকে বিভিন্ন ইউনয়িন,উপজেলার নেতা কর্মীরা জানান ২ আসনে আওয়ামীলীগ কে বলিষ্ঠ করতে হলে,এডভোকেট শামসুল ইসলামের বিকল্প নেই । কারণ বাবু সুরনজিত সেনগুপ্তর মৃত্যুর পর বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ নাছির উদ্দিন বেশ আলোচনায়। গ্রামীণ এলাকাবাসী জানান, এবার ভোট প্রয়োগে ভোটারগণও থাকবেন সচেতন। এলাকার সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে সঠিক প্রার্থীকে ভোট দেবেন। নির্বাচনের জন্য দিন তারিখ ঘোষনা করা কে কেন্দ্র করে করে শুরু হয়ে গেছে নানান জল্পনা কল্পনা কে হচ্ছেন ২ আসনের সংসদ সদস্য।

এ দিকে প্রয়াত অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে প্রার্থী হতে চান সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট শামসুল ইসলাম। যদি ও ড. জয়া সে গুপ্ত এ আসনে রয়েছেন তবু ও সে দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে আছেন আওয়ামীলীগের এ জনপ্রিয় নেতা । এডভোকেট শামসুল ইসলাম সুনামগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শহীদ তালেবের ভাই। সিলেট আইন মহাবিদ্যালয় ছাত্র সংসদো সাবেক ভিপি ছিলেন শামসুল। বর্তমানে সিলেটের এডিশনাল পিপির দায়িত্ব ও পালন করছেন অত্যন্ত দক্ষতার সহিত। এবার তাকে নিয়ে দিরাই শাল্লার মানুষ স্বপ্ন দেখছে। জানা যায় সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত আওয়ামীলীগে যোগদানের পর থেকেই ছাত্ররাজনীতির মধ্য দিয়ে ওঠে আসা শামসুল ইসলাম তার সাথেই এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। প্রয়াত নেতার আস্থাভাজন হিসেবে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলয়ের নেতা কর্মীরা মনে করেন, কোন কারণে সুরঞ্জিত সেনের স্ত্রী ড. জয় নির্বাচন না করলে সেখানে শামসুল ইসলামেই মনোনয়ন পাওয়া উচিত। এতে দিরাই-শাল্লার রাজনীতি ওউন্নয়ন কর্মকান্ডে সুরঞ্জিতসেন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এ ব্যাপারে মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট শামছুল ইসলাম বলেন, আমি শহীদ পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সুরঞ্জিন সেনগুপ্তের ছায়ায় রাজনীতি করেছি। যদিসুরঞ্জিত সেনের পরিবারের কেউ প্রার্থী না হন, তবে আমি নির্বাচন করতে আগ্রহী। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্তকেই আমি শ্রদ্ধা করি। তিনি বলেন জাতির জনকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতির ময়দানে তার পদার্পণ। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী, ছোট বেলা থেকেই আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।এলাকার সাধারণ মানুষের আপদ-বিপদে অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে কোনো প্রয়োজনে গাঁটের পয়সা খরচ করে মানুষকে সেবা দেওয়া-ই যেন এড শামসুলের ব্রত। সেবা তো করছেন-ই, তারপরও কেন রাজনীতির ময়দানে নামতে হচ্ছে মানুষের সেবা করার জন্য- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাবাকে দেখেছি সেবা করতে। উনি মানুষের সেবা করেছেন, কোনো দলের রাজনীতি করেন নি। কিন্তু বর্তমানে যে যুগ পড়েছে, একটা প্লাটফর্ম ছাড়া সেবা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নদী নালা আর হাওরের জনগণের কষ্ট ও দুর্দশা লাঘবে তিনটি কাজকে প্রাধান্য দিয়ে এগোতে চান ‘ভোটের মাঠে প্রিয় মুখ’ এডভোকেট শামসুল ইসলাম।তিনি বলেন, আমার প্রথম কাজ হবে দিরাই শাল্লার সাধারণ মানুষকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা।

প্রতি বছর বন্যায় এ দুই উপজেলার লোকজন সীমাহীন দুর্দশায় পড়ে। এদেরকে রক্ষায় দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করব আমি-যা ইতোপূর্বে কেউই করেন নি। শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে গ্রামীণ জনঘোষ্ঠিকে শিক্ষা বিস্তারে ও কাজ করতে চান শামসুল। তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় কাজ হলো-শিক্ষার হার বাড়ানো। দিরাই শাল্লাতে স্কুল-মাদ্রাসা আছে। কিন্তু এগুলোকে রি-অ্যাক্টিফাই করতে পারলে শিক্ষার হার তিনগুণ বেড়ে যাবে। আমাদের দিরাইয়ে বিশেষ করে শাল্লা ব্যবসা এলাকা এখানে ব্যবসায় ভাল করতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচিত হলে শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাব।নদীর পাড় ও চরে বসবাসরত লোকজনের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারেও অগ্রাধিকার দেবেন এছাড়া তিনি আরো বলেন,এলাকায় চিকিৎসা সেবার সুযোগ খুবই কম। আমি নির্বাচিত হলে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ওপর জোর দেব। অর্থাৎ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত এবং বন্যার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা-এই তিনটি বিষয়কে আমরা প্রাধান্য দেব। নৌকার মনোনয়ন নিয়ে জনগণের ভোটে পার্লামেন্টে যেতে চাই

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য