সিসিক নির্বাচনের আর পাঁচ দিন জনসমর্থনে এগিয়ে কামরান
মবরুর আহমদ সাজু
আর মাত্র ৫দিন পর অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলসহ মেয়র প্রার্থীরা এখন ছুটছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। কম যাননা দলীয় নেতা-কর্মীরাও। আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পক্ষে দলমত নির্বিশেষে এবার ঐক্যবদ্ধভাবে নেমেছে সমগ্র সিলেটবাসী এছাড়া সিলেট আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন ইউনিটে ভাগ হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তারা।এদিকে প্রতিক ঘোষণার পর থেকেই কামরানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন তারা। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চাইছেন তারা। এক একটি ভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েস এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু। এছাড়া তাদেরকে সার্বিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ। বিভিন্ন সময়ে তিনিও তাদের সাথে মাঠে কাজ করছেন। সবার মুখে আধুনিক সিলেটের প্রত্যয় আর কামরান বলছেন সময়ে শ্রেষ্ট সিলেট উপহার দিবেন গণসংযোগ,প্রচারণা,আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন যেন এবারের প্রচারনায় একটিু বেশি, সেতু বন্ধন থেকে ব্যাপক জনসমর্থনে ব্যাপক এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রয়াসে কখনো একাহেটে কখনোবা দলবেধে সেই পৌরসভা থেকে আজ অবধি পর্যস্ত চলছে তার সংগ্রাম রোদ বৃষ্ঠি উপেক্ষা করে চলেন তিনি। জনসেবার কান্ডারী হিসেবে রয়েছে তার দারুন মনোভাব সবমিলিয়ে সিসিকের সফল এক জননেতার নাম বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। গর্তেপড়া সিলেট কে প্রথমইে আলোরমুখ দেখাতে সক্ষম হন তিনি এমনটাই সচেতন নগরবাসী বলছেন, আর ভোটাররা বলছেন দেড়যুগ আগে যে সিলেট কে কামরান আলোর মুখ দেখিয়েছিলেন তাকে কি করে ই বা ভূলবে? আর তার আমলে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে যদি ও সে সময় তার দল ক্ষমতায় ছিলনা তবুও উন্নয়ন করতে তিনি কৃপণতাবোধ করেননি বলে জানায়ায়। আর এমনটিই আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বলছেন নগরবাসী বিধায় তাকে নিয়ে আবারো স্বপ্ন দেখছেন সিলেটের সর্বস্তারের লোকজন। এদিকে সবার জন্য তার বাড়ির দরজা খোলা থাকে। সবাই সুখে-দুঃখে কাছে পায় বলেই বার বার নগরবাসী তার কাছে ছুঠে যায় সেজন্য সবাই মনে রাখছে এবার ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে ব্যতিক্রম হবে না বলে জানিয়েছেন নবীন প্রবীণ ভোটররা। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাতাশটি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ২০০। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ২৫১ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৯ জন। ২০১৩ সালের পর এ কয় বছরে ভোটার বেড়েছে ৩০ হাজার ১৫৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১৪ হাজার ৭০ জন এবং মহিলা ১৬ হাজার ৮৪ জন। ওই বছর মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮১ এবং মহিলা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৫ জন ভোটার ভাড়ার সাথে সাথে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা বাড়ছে আসন্ন সিসিক নির্বাচন কে সামনে রেখে সিলেট নগরীর ওয়ার্ডে ওয়াডে সচেতন ভোটাররা জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রিুতির বাস্তবায়ন নিয়ে নানামুখি কর্মকান্ড ‘ভালো-মন্দ’ বিচার-বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন ভোটাররা। আলোচনার বিষয় একটাই জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় জনগণকে কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আর কতটুকু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন তা হিসাব নিকাশ করছেন নগরবাসী। নগরীরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কসমেটিক উন্নয়নের নামে বিভিন্ন ¯’ানে প্রত্যাশিত উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার জনগণ। অভিযোগ তোলেছেন গেল টার্মে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বির“দ্ধে। তবে ২৭ ওয়ার্ডে বাসিন্দারা এসব কারনে বলছেন এবার ভোট প্রয়োগে ভোটারগণও থাকবেন সচেতন। এলাকার সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে আন্তরিক মানুষকে এবার নগরপিতা বানাবেন এছাড়া প্রচারণার ক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে এবং দলের প্রার্থীর হিসাব অনুযায়ী আলাদা পোস্টার এবং লিফলেট তৈরী করেছেন তারা।
এব্যপারে নেতারা বলেন- বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের যে উন্নয়ন করেছেন। সেই উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে আমরা নৌকার পক্ষে সিলেটের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি ভোট চাইতে।
তারা বলেন, নৌকার প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সিলেটের মানুষের সেবার মানসিকতা নিয়েই তিনি বিগত দিনে পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব সততা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন। তার রয়েছে ব্যক্তি ইমেজ। ভোটারদের কাছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এজন্যই মানুষ তাকে ভোট দেবেন।