একাদশে মানসম্মত কলেজ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও বিশ্লেষণ

একাদশে ভর্তি লক্ষ্য যখন ভালো কলেজ

ক্যম্পাস প্রতিবেদক:

এসএসসির ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এখন দৌড়ঝাঁপ কলেজের ভর্তি নিয়ে।  সবারই লক্ষ্য একটি ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া ।পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর ভালো মানের কলেজে ভর্তির চিন্তা চেপে বসেছে শিক্ষার্থীদের ওপর এমনটিই বলেছেন অনেক শিক্ষর্থী । ভালো ফলাফলের পরও পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না তারা। গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও মাধ্যমিকে ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই কলেজ বরাদ্দ দেওয়া হবে ভর্তিচ্ছুদের।এদিকে ভালোমানের কলেজ কম হওয়ায় ফল ভালো করেও তারা এখন দুশ্চিন্তায় আছেন অনেক শিক্ষার্থীরা।সচেতন অভিভাবকদের ধারণা, মানসম্মত কলেজে ভর্তি হলে  শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হয় । তাই যে করেই হোক  প্রিয় সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তা করেই  মানসম্মত কলেজেই ভর্তির প্রত্যয় প্রত্যাশা অনেকের । যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ভর্তি হয়ে স্বপ্ন পূরণে দিকে অনেকের নজর থাকে,সেহেতু একাদশ ম্রেণিতে পছন্দের তালিকায় কোন কলেজ রাখবে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীর জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাবিদদের মতে, শিক্ষার্থীদের কলেজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাছের কলেজটিকে পছন্দের তালিকায় রাখা উচিত। শিক্ষার্থীরা তার নিজ এলাকার ভালো কলেজে ভর্তির হলে তাদের অতিরিক্ত সময় নষ্ট হবে না। যাতায়াতে যে সময় নষ্ট হবে সেই সময়টাতে পড়াশোনায় মন দিলে নিশ্চিতভাবে ফলাফল ভালো হবে। এছাড়া বিভিন্ন কলেজের অতীতের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে হবে। শুধু নামে নয় মানের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে । সেই ভাবনা থেকে আজকের আয়োজন  প্রত্যাশা থেকে প্রাপ্তি  এসব  নিয়ে সিলেট ক্যম্পাসের সাথে কথা বলেছেন সিলেটের তরুণ শিক্ষার্থী ও উদিয়মান শিক্ষকরা দিয়েছেন  তাদের মতামত উল্লেখযোগ্ বিশেষ অংশ তুলেধরা হল।

সবেমাত্র একাদশ পেরিয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছে কেউ আবার কেহ কেহ সদ্য এইচ,এসসি পরীক্ষা শেষ করে অধ্যয়ন করছে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে,তারা সবাই সিলেট কমার্স কলেজ সিলেট বিজ্ঞান প্রযুক্তি কলেজের শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য এসএসসিতে যেমন ছিল এইচএসসিতে উক্ত কলেজে এসে  তাদের রং রূপ চিন্তা চেতনা পাল্টে গেছে। চেতনার সাথে যোগ হয়েছে সমসাময়িক নতুন নতুন ভাবনা আর এই ভাবনা থেকেস্বপ্ন হাতছানি তাদের কে উকি দেয়। আসন্ন একাদশ শ্রেণিতে  ভর্তিকার্যক্রম শুরু হয়েছে সেই সাথে চলছে যাচাই বাছাই এরমধ্যে নবীনদের মান উন্নয়নের  একটি ভালো কলেজেই সহায়ক ভুমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ঠজনেরা । আর সেই ভাবনা থেকে আজকে আমাদের আয়োজনে প্রত্যাশা থেকে প্রাপ্তি এসব  নিয়ে সিলেট ক্যম্পাসের সাথে কথা বলেছেন সিলেটের তরুণ শিক্ষার্থী ও উদিয়মান শিক্ষকরা ,

এদের মধ্যে রিয়াদ ,রুবেল, হাসানদের বাড়ি, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ,দিরাই কেউ থাকেন কলেজ হোস্টেলে আবার কেউ থাকেন নিজ বাসায়। সকালবেলায় স্বপ্ন ও সম্ভাবনায় ঝড়ো হন কলেজ ক্যাম্পাসে। তাদের সৃজনশীলতায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যায় পুরো ক্যম্পাস আঙ্গিনা ।একাদশ ভর্তি নিয়ে প্রথমে কথা হয় মুহিউদ্দিন  সাথে তিনি বলেন এসএসসিতে তার স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  কলেজে ভর্তি হবে এবার সে তার প্রিয় কলেজে ভর্তি হয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছে বলে জানান এই কলেজে শিক্ষার মান অনেক ভালো শিক্ষকরা উপযুক্ত গাইড দিয়ে থাকেন সেই নির্দশনায় এবারের ২০১৮সালে অনুষ্ঠিতব্য সৃজনশীল মেধো অন্বেষণে সিলেট বোর্ডের সেরার অর্জন করেন  সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের শিক্ষার্থী  হিসেবে।

সিলেট কমার্স কলেজ থেকে পাশ করেন কয়েক বছর আগে তানহা তানজিম তিনি লেখা পড়া করছেন  নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাদশ নিয়ে তিনি বলেন সিলেট কমার্স কলেজে শিক্ষার্থীরা কম জিপিএ নিয়ে ভর্তি হয়ে জিপিএ ফাইভ নিয়ে বের হয় সুতারই বুঝতেই পারছেন এই কলেজের শিক্ষার মান কত এগিয়ে ?

ইশরাত জাহান মৌরি জানান একাদশে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি গড়ে ওঠে কলেজ জীবনে। কৈশোরে পদার্পণ করা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মনোজাগতিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিলেট বিজ্ঞান ও প্রুক্তি কলেজে পাঠদান করানো হয়। দেশের আবহমান সংস্কৃতি লালন ও ধারণের নিমিত্তে ক্যাম্পাসে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি চর্চা থাকে বছর জুড়ে নিয়মিত ক্লাস, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ থাকে । এমন কলেজে ভর্তি জন্য সবাই কে চাই ।সদ্যশেষ হওয়া এইচ,এসসি পরীক্ষা দিয়ে কলেজ থেকে বের হয়েছেন সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী রিয়াদ তার ভাবানায় চলে এলো একটু ভিন্নমাত্রা কথার ফুলঝুড়িতে বলতে থাকলেন স্কুলে থাকতে ছিলাম একটু উড়ো উড়ো,স্বপ্ন ছিল সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজে  ভর্তি হব গেলবার একাদশে ভর্তি হয়ে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। সুতারাং এই কলেজের শিক্ষাগ্রহণ করে অনেক সৃজনবাদী হয়েছি আমার চিন্তা চেতনা ও জীবন মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রসর হবার । প্রত্যয় জানলাম। তার বন্ধু স্নেহাশীষ একই কলেজের শিক্ষার্থী তার ভাবনা একটু অন্যরকম তিনি বলেন ছোট ছোট স্বপ্ন থেকে মানুষ বড় হয় আজকের প্রতিযোগিতার বিশ্বে সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজে ছাড়া বিকল্প নেই।

দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবেল  এবং নাজমুল ক্যম্পাসে সেরাদের তালিকায় রয়েছেন বলে জানাযায়  এগিয়ে এসে বললেন  আমি আমার আমাদের  নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। সিলেট বিজ্ঞান প্রযুক্তি কলেজ এক বছরে আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার মনে হয়না এর থেকে ভাল কলেজ আর আছে।থাকতেও পারে তবে আমার কাছে এটাকেই সেরা মনে হয়। আমি এই কলজের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বলছিনা আমি বলছি একজন সুনাগরিক হিসেবে। প্রথম অবস্থায় যদি ও কলেজটিকে একটু প্যারাময় মনে হয়েছিল কিন্তু কয়েকমাসেই বুঝতে সক্ষম হয়েছি এই প্যারাই আমায় সুনাগরিক হিসেবে আলোর পথ দেখাবে,এই কলেজের শিক্ষকরা ফ্যামিলির মতই ভূমিকা রেখে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছে।আমি এই পর্যন্ত যতটুকু বলতে পারি কোনো ছাত্র-ছাত্রী যদি জীবনে ভাল কিছু করতে চায় তাহলে এই কলেজে ভর্তি হওয়া উচিত।কারণ এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটা মানুষ সচেতন আমাদের ব্যাপারে।তাছাড়া ও এখানে রয়েছে ডিজিটাল পাঠদান ব্যবস্থা।আমি ফ্যামিলি ছেড়ে এই কলেজে ভর্তি হয়ে কলেজ ছাত্রবাসে লেখাপড়া করছি. এখানে একটা শিক্ষার্থী থাকলে সে মনে করবে তার নিজের ফ্যামিলিতে থেকে পড়ালেখা করছে।শিক্ষকদের কাছ থেকে কখন ও পেয়েছি অভিভাবকের মত আচরণ,কখন ও বন্ধুর,কখন ও শিক্ষকের আবার কখন ও পেয়েছি মানুষ গড়ার দক্ষ কারীগর হিসেবে।এখানে শুধু পড়াশোনাই করানো হয়না পাশাপাশি কিভাবে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজের অবস্থান গড়া যায়, ভালো আচার আচরণ সবকিছু শিক্ষা দেওয়া হয়.। নাজমুল বলেন  অন্যান্য কলেজে প্রাইভেট পড়তে হয় ১২মাসই কিন্তু আমাদের কলেজে প্রাইভেটের প্রয়োজন হয় না আমাদের কলেজের ¯েলাগান হচ্ছে প্রাইভেট পড়া কে না বলুন” যেই কারণে অভিভাবক মহলে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে কারণ প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হয়না এবং অর্থের ও সাশ্রয় হয়।

আবু তাহের চিটাগাং মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত তিনি সিলেট বিজ্ঞান প্রযুক্তি কলেজের সাবেক শিক্ষার্র্থী বর্তমানে চিটাগাং মেডিকেল কলেজের প্রিয়মুখ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে তিনি বলেন

 

সিলেটে মানসম্মত শিক্ষার দৃঢ় অঙ্গিকার নিয়ে এগিয়ে চলছে মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশন পরিচালিত সিলেট কমার্স কলেজ, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ, মুহিবুর রহমান একাডেমি এবং ইডেন গার্ডেন স্কুল এন্ড কলেজ। ফাউন্ডেশনের অন্যতম স্লোগান প্রাইভেট পড়াকে ‘না’ বলুন। প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্য বোর্র্ড সেরা কলেজের স্বীকৃতি প্রাপ্তি ,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল , ইঞ্জিনিয়ারিং ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের রয়েছে ব্যাপক সাফল্য। অভিভাবকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার কারণ:রাজনীতি ও ধুমপানমুক্ত ক্যাম্পাস, প্রাইভেট পড়তে হয় না বলে অর্থ সাশ্রয়। কম জিপিএ নিয়ে ভর্তি হয়ে অধিক জিপিএ প্রাপ্তির রেকর্ড। শতভাগ পাশ, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় বোর্ডের সর্বাধিক অ^+ প্রাপ্তি। ছাত্রীদের জন্য রয়েছে পৃথক ক্যাম্পাস। সিসিটিভি দ্বারা মনিটরিং ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ,স্মার্ট বোর্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে পাঠদান ও দ্রুত ফলাফল মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে সকল প্রতিষ্ঠানে ।  মদন মোহন কলেজের পন্কজ রায় বলেন বর্তমানে অনেক কলেজ গড়ে উঠেছে, যার প্রয়োজনীয় কাঠামো নেই, শিক্ষক নেই, ল্যাবরেটরি নেই, লাইব্রেরি নেই। নামসর্বস্ব এসব কলেজ চলছে পাসের হার আর বিজ্ঞাপন প্রক্রিয়ার শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে। বছর শেষে সাজেশন আর নোট সাপ্লাইয়ের বদৌলতে ভালো রেজাল্টও করছে। কিন্তু এখানে ভেবে দেখতে হবে এদের কতজন শিক্ষার্থী পরবর্তীতে দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি হতে পারছে। মনে রাখতে হবে, শিক্ষা কেবল বইয়ের পাতায় আর ক্লাস লেকচারে থাকে না। এর জন্য চাই একটি সমন্বিত ব্যবস্থা।

 

সিলেট বিজ্ঞান  প্রযুক্তি কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক আফজাল হোসাইনএকাদশে ভর্তি নিয়ে বলেন

 

একজন শিক্ষার্থী শিক্ষাজীবন শেষ করে নিজেকে কোথায় দেখতে চায়, সেটার অনেকখানিই নির্ভর করে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল এবং শিখনের ওপর। এর সবকিছুতেই কলেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কলেজ বাছাইটাও ভালো হতে হবে। তারপরেও কোন কলেজে ভর্তি হবে ছেলে-মেয়েরা? ভালো কলেজ বলতেই বা আমরা কী বুঝি? এসব নিয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চলছে সিদ্ধান্তহীনতা ও দুশ্চিন্তা। ভালো কলেজ বলতে কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সুউচ্চ দালান, মাঠসম্বলিত নয়। বরং অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক মানের শিক্ষণ পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের মান—সবকিছু মিলিয়েই ভালো কলেজ। এক্ষেত্রে অবশ্যই কলেজটির সাফল্যের পরিসংখ্যানে দৃষ্টি দিতে হবে। বর্তমানে কলেজে আসন নিয়ে কোনো সঙ্কট নেই। আছে ভালো মানের কলেজ নিয়ে। ভালো রেজাল্ট যারা করেছেন, তারা ভালো কলেজে ভর্তি হবেন

 

সিলেট কমার্স কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক সজিবদত্ত বলেন

আমাদের কলেজের সাফল্য প্রায় শতভাগ। শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। তাদের তত্ত্বাবধান ও পড়ালেখার উন্নয়নের জন্য গাইড টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গাইড টিচাররা শিক্ষার্থীদের ক্লাস-টেস্ট পরীক্ষাগুলোর ওপর নজর রাখেন, কোনো বিষয়ে নম্বর কম পেলে বা দুর্বল থাকলে তাদের নিয়ে বিশেষ তত্ত্বাবধানে ক্লাস নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয় পছন্দের তালিকায় কোনো কলেজ রাখবে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীর জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ভালো কলেজে ভর্তির আসন পূর্ণ হয়ে যাবে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দিয়েই। ফলে শিক্ষার্থীদের অন্য কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগও খুঁজতে হবে।

 

 

সিলেট বিজ্ঞান প্রযুক্তি কলেজের আইসিটি বিভাগের প্রভাষক ফাহিম কোরাইশী বলেন

‘জ্ঞান অর্জনের জন্য সেরা কলেজের চেয়েও জরুরি একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’ যারা মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে একটি বৈতরণী পার করেছেন তাদের অভিনন্দন। সামনে এই শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ উচ্চমাধ্যমিক লেভেলের একটা ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া। এ ক্ষেত্রেও শীর্ষ ফলাফলের মতোই সবার দৃষ্টি সেরা কলেজটির দিকে। তবে পার্থক্য হলো জ্ঞান অর্জনের জন্য সেরা কলেজের চেয়েও জরুরি হলো একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের, আর আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানে সর্বোচ্চ সংখ্যক ‘এ’ প্লাস বা গোল্ডেন জিপিএ অর্জন না। যদিও একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামগ্রিকভাবে ভালো ফলাফল যেমন করবে, তেমনি মানবীয় গুণাবলিসম্পন্ন আদর্শ সৃজনশীল শিক্ষাদান ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম, খেলাধুলা ও কালচারাল প্রোগ্রামেও থাকবে তত্পর তথা সাফল্যের অধিকারী।

 

বাংলা ইউনিভার্সিটির  আইটি বিভাগের  জনপ্রিয় লেকচারার আবুল হাসনাত হাসান বলেন

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কেননা পরবর্তী জীবনে ক্যারিয়ারের ভিত এখানেই রচিত হয়। তাই এ সময়টায় সিদ্ধান্ত নিতে হয় সতর্কতার সঙ্গে। উদ্দেশ্য নির্ধারণের আগে নিজের ইচ্ছা ও আগ্রহের বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা জরুরি। তবে শুধু ইচ্ছা বা আগ্রহকে প্রাধান্য দিলেই অনেক সময় লক্ষ্য নির্ধারণ সঠিক হয় না। সাধের সঙ্গে সাধ্যের সমন্বয় ঘটানোটাও গুরুত্বপূর্ণ। কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসির ফলাফল, আর্থিক সঙ্গতি, যাতায়াত ব্যবস্থাসহ কলেজের সার্বিক আসন ও শূন্য আসনসহ উপযুক্ত শিক্ষক, ল্যাব, লাইব্রেরি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামো ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ মুহিবুর  রহমান বলেন শিক্ষা নিয়ে আর কত নিরীক্ষা?

শিক্ষা নিয়ে নিরীক্ষা চলছে দেশে। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে শিক্ষার নানা পদ্ধতি চালু ও তার কার্যকারিতা নিয়ে এজন্যই প্রশ্ন উঠছে বারবার। মানসম্মত শিক্ষা, জীবন ও জীবিকার জন্য শিক্ষা, নাকি শুধু তথাকথিত ডিগ্রি অর্জনের জন্য শিক্ষা- এই প্রশ্ন সামনে চলে আসছে বারবার ।বাড়াতে হবে শিক্ষার মান শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানের মান শিক্ষাকে সভ্যজাতির মূল স্তম্ভ হিসেবে ধরা হয়। কেননা একটি জাতির সার্বিক উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য শিক্ষা সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই। একটি জাতি শিক্ষা-দীক্ষায় কতটা উন্নত সমাজ, সভ্যতা, সংস্কৃতির বিকাশ কতটা অগ্রসরমান তা অনেকাংশে নির্ভর করে শিক্ষার ওপর। শিক্ষা একটি জাতিকে সঠিক পথ নির্দেশ করে সৃজনশীলতা বিকাশে যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারে। একটি জাতির উন্নতির পূর্ব শর্ত শিক্ষা। এর প্রকৃত অর্থ শিক্ষাই অসভ্য বর্বর জাতিকে যুগে যুগে আলোর পথে এগিয়েছে। ব্যক্তি পর্যায় থেকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনে মৌলিক ভূমিকা রাখে শিক্ষা। আর এ কারণেই বলা হয় শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড

শিক্ষাবিদ মু.রহমান বুলবুল বলেন

শিক্ষা কোনো পণ্য নয় শিক্ষা অর্জন করতে হয় । আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করলে তা সহজ হয়ে যায় । সুতারাং একাদশ শ্রেণিতে যারা ভর্তি হয় তারা নবীন প্রজন্ম, তাদের হাতে আগামির বাংলাদেশ,তাই ক্যারিয়ারের ভীত এখান থেকেই রচনা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া ।

 

সিলেট কমার্স কলেজের  রেক্টর,সামসুর রহমান  শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি গড়ে ওঠে

কলেজ জীবনে।

 

 

 

 

 

সিলেট কমার্স কলেজের রেক্টর সামসুর রহমান বলেন তাদের কলেজগুলোতে এইচএসসি উত্তীর্ণ বেশ কিছু শিক্ষার্থী, ঢাবি, শাবি, চিটাগাং মেডিকেল,  জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে। এছাড়াও বর্তমানে মেরিন একাডেমী কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা কেন আপনার কলেজকে বেছে নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে সামসুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি গড়ে ওঠে কলেজ জীবনে। শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে কমার্স  কলেজকে বেছে নেবে বলে আমি মনে করি। কেননা আমাদের অতীত রেকর্ডই তাদেরকে এ কলেজে ভর্তি হতে উৎসাহিত করবে। এখানে যারা ভর্তি হবে তারা অবশ্যই ভালো ফল নিয়ে বেরুতে পারবে। কারণ আমরা মুখস্থ নির্ভর পড়া না শিখিয়ে শিক্ষার্থীকে বাস্তব জীবনে পরিবেশ-পরিস্থিতি মোকাবেলা করার উপযুক্ত করে গড়ে তুলি। যেকোনো বৈরী পরিবেশের মোকাবেলা করে তারা সফল হতে  পারে ।বিগত বছরের সাফল্যের স্মৃতি নিয়ে আমরা বিভোর থাকি না, আমরা এর ধারাবাহিকতা রক্ষার নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। একে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

সম্পাদনায় :মবরুর আহমদ সাজু ,শাকিল মোস্তাফা,তানজিল আমিন

 

এ বিভাগের অন্যান্য