বর্ষবরণ: রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বর্ণিল প্রস্তুতি নগরীতে: মবরুর সাজু
চৈত্রের শেষভাগে এসে বদলেছে আবহাওয়ার মেজাজ। মেঘলা আকাশ। হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে সিলেটে। তবে তাতে নববর্ষ বরণ উৎসবের প্রস্তুতি থমকে যায়নি। নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ। তুমুল কর্মব্যস্ততা। নগরীর মোড়ে মোড়ে সামনে থরে থরে সাজানো চিত্রিত সরা। দেয়ালে শোভা পাচ্ছে জলরঙের চিত্রকর্ম। প্রাঙ্গণে নবীন শিক্ষার্থীরা কাজে মেতে আছেন। কেউ বাঁশ-কাঠ কাটাকুটি করছেন, কেউ কাগজ কাটছেন বিভিন্ন আকৃতির। হাতে সময় আর বেশি নেই। নববর্ষ কড়া নাড়ছে দ্বারে। বাঙালির প্রাণের এই আয়োজনকে বর্ণাঢ্য করে তুলতে নগরবাসী বরাবরের মতোই নিয়েছেন ব্যাপক প্রস্তুতি।নগরীর ক্বিনব্রিজের পাশে দিয়ে ঢুকেই মাটির সরা, জলরঙের চিত্রকর্ম ও মুখোশের যে প্রদর্শনী দেখা গেল, সেটি বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদ্যাপনের তহবিল গঠনের জন্য। প্রস্তুতির এই মহাযজ্ঞের তদারক করছেন নিসার হোসেন, শিশির ভট্টাচার্য্যসহ অনেকে।শিল্পী নিসার হোসেন বললেন, ‘গত বছর আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল ভাবনা ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি। এবারের ভাবনা বাংলার সমুদ্রসীমা বিজয়কে নিয়ে। বাংলার রূপকথায় সমুদ্র বিজয় বলতে সাতসমুদ্দুর তেরো নদী পেরিয়ে যাওয়াকে বোঝানো হয়েছে। আমরা তাই মিয়ানমারের বিপক্ষে যে মামলায় জিতে সমুদ্রসীমা জয় করেছি, সেই বিজয় বোঝাতে ময়ূরপঙ্খী নাওয়ের আদলে বড় সাম্পান তৈরি করা হবে।’ এ ছাড়া থাকবে ‘হাতির পিঠে লাঠি হাতে মাহুত’, থাকবে লোকজ পুতুল, বাঘ, ঘোড়া, বাংলার ক্রিকেট-বীরদের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রতিকৃতি প্রভৃতি। আর চিরায়ত বাংলার স্মারক তোথাকবেই।শহরজুড়ে আয়োজন:এ ছাড়া নগরীতে পোশাক-আশাকের দোকানগুলোতে বেড়েছে উৎসবের জন্য তৈরি লাল-সাদা নকশার পোশাক ও অলংকারের বিক্রি। মাটির তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর কদরও বেড়েছে। বিপনী বিতানের সামনে দেখা গেল, মাটির সামগ্রী বিক্রির অস্থায়ী দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড়। নগরীর মোড়ে মোড়ে বিক্রেতা জানান, বৈশাখের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, মাটির তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর কদর ততই বাড়ছে। বছরের এই সময়টাতে বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়।