চলে গেলেন ছয় দফা ও আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তী নেতা শাহ আজিজ

 

আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তী সাবেক ছাত্র নেতা সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আজিজুর রহমান(৭৯) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি—–রাজিউন)। তিনি রোববার সকাল ৮টায় সিলেটের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকলে তিনি স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে আত্মীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুম শাহ আজিজ দীর্ঘ দিন থেকে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা আজ বাদ জোহর সিলেট হযরত শাহ জালাল(র:) দরগাহ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় নামাজে জানাজা আজ বাদ আছর মরহুমের গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগরের উমরপুর ইউপির খুজগীপুর মান উল্যা বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবার পর মরহুমের গ্রামের বাড়ি খুজগীপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। বর্ণাঢ্য রাৈিজনতক জীবনের অধিকারী শাহ আজিজুর রহমান ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যুত্থানে সিলেটের ছাত্র গণজাগরনের অবিসংবাদিত নেতা যার সাহস ও ত্যাগের রাজনীতি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনকে গোটা পূর্ব পাকিস্তানে বেগবান করে ছিল। এই সময় তিনি কারাবরন করে সিলেটের আন্দোলনকারিদের গর্বিত করে ছিলেন সৃষ্টি হয়ে ছিল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়। ছয় দফা আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার মহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে পালন করেছিলেন তিনি। সত্তরের নির্বাচনে একজন ছাত্র নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধুর নৌকার বিজয়ে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে এক জন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ছিলেন শীর্ষদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর প্রতিশোধ নিতে কাদের সিদ্দীকির সাথে যোগ দেন। জাতীয় প্রতিটি দুঃসময়ে অগ্রভাগে থেকে সিলেটের অন্যতম কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলেন। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা, সংগঠক ও আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতার পাশাপাশি ১৯৮৯ সালে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আ.লীগের মনোনিত প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে সিলেট-২ আসনে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতিয় পার্টির কবল থেকে সিলেট-২ আসনটি উদ্ধার করেন। তৎকালিন সংসদ সদস্য হয়ে জনগনের উজাড় করা ভালবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শাহ আজিজুর রহমান।

এ বিভাগের অন্যান্য