ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ঈদের তৃতীয় দিন গতকাল বুধবার লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে সৈকত। দীর্ঘ ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্রসৈকতে।
সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, মেরিনড্রাইভসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ।
কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে সমুদ্রে গোসল। আর তাদের এই সমুদ্র গোসল নিরাপদ করতে কাজ করছে স্থানীয় সি-সেভ নামের একটি লাইফগার্ড সংস্থা। সংস্থাটির কর্মীরা এখন দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করছেন পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানের কাজ নিয়ে। কোথায় সাগরের চোরাবালি আর কখন জোয়ার-ভাটা এসব তথ্য সার্বক্ষণিক জানিয়ে দিয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন পর্যটকদের।
কিশোরগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে হাবিবউল্লাহ নামের একজন ভ্রমণকারী ঈদের পরদিন কক্সবাজারে এসেছেন। তিনি ঘুরে দেখেছেন সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটনকেন্দ্র হিমছড়ি ইনানী।
ময়মনসিংহ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী হাসান রশিদ বলেন, বেড়াতে এসে খুব আনন্দ করছি। তবে হোটেলভাড়া একটু বেশি মনে হয়েছে এবার। ভাড়া আরেকটু কম হলে ভালো হতো বলে তিনি জানান।
কক্সবাজার সাগরপাড়ের হোটেল মোটেল ছেড়ে অনেক পর্যটক নিরিবিলি পরিবেশ ইনানী সৈকতের মেরিন ড্রাইভের রিসোর্টগুলোতে উঠেছেন। ইনানী মেরিন ড্রাইভের সাগরলতা নামের একটি রিসোর্টে ওঠা সিলেটের কানাইঘাট এলাকার বাসিন্দা রাহাত ফারহান জানান, ইনানী পাথুরে সৈকত দারুণ। একদল ছিমছাম এবং নিরিবিলি পরিবেশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন, বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। ইতিমধ্যে অনেক পর্যটকের হারিয়ে যাওয়া মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিস খুঁজে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও পর্যটকদের জন্য পর্যটনকেন্দ্র হিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী, পাটুয়ারটেক, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কসহ রামুর বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে ভিড় করেছে ভ্রমণপিপাসুরা।