পারমাণবিক অস্ত্রের হুঁশিয়ারি পুতিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ

 

রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পিছপা হবে না দেশটি। পশ্চিমা বিশ্বকে ইঙ্গিত করে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। সম্প্রতি সেই অস্ত্রে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও আঘাত হানার নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টির সমালোচনা করে পুতিন বলেন, পশ্চিমা বিশ্বকেও আঘাত করার জন্য মস্কো তার মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহ করবে। বিবিসি।

একই সাক্ষাৎকারে পুতিন আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে আমাদেরও একই ধরনের আচরণ করার অধিকার রয়েছে। তবে এমনটা হলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হবে। এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্র সরবারহকারী দেশগুলোর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়াও পশ্চিমাদের মতো যুদ্ধে মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহ করবে। যদিও কোন কোন দেশে এ অস্ত্র সরবরাহ করা হবে তা উল্লেখ করেননি তিনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুতিন। এ পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি মূলত পশ্চিমা বিশ্বকে আঘাত করার জন্য মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রাশিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য জার্মানিসহ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দেশগুলো ইউক্রেনকে যুদ্ধের অস্ত্র সরবরাহ করছে। অন্যদিকে রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়া এবং ইরান যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করছে বলে নিশ্চিত করেছে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ সময় জার্মানিকে উদ্দেশ করে পুতিন বলেন, ‘আমি দৃপ্তকণ্ঠে বলতে চাই, জার্মানির কোনো অস্ত্রে যদি রাশিয়ার কোনো ধরনের ক্ষতি হয় তার পরিণাম জার্মানির জন্য কখনোই সুখকর হবে না। বিশেষ করে যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্রের জোগান এবং ইউক্রেনকে এ সম্পর্কে শলাপরামর্শ দেওয়াটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। বহু সাজানো-গোছানো শহর ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এ বিভাগের অন্যান্য