স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম, ২০ দিনেও আসামিরা অধরা

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

রাজধানীর পল্লবী এলাকায় মো. সোহেল নামে এক যুবককে (৩০) স্ত্রীসহ কুপিয়ে জখম করার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগ পাওয়া গেছে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ও টাকা ধার না দেওয়ার জেরে মো. জনি নামের এক ব্যক্তি তার অনুসারী কয়েকজন যুবককে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এতে ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে জনিসহ চারজনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় হত্যার উদ্দেশে জখম ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলো- মো. জাহিদ (৩০), মো. মুসা ও মো. শাওন।

 

এ পর্যন্ত মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ। এমনকি আসামিরা ভুক্তভোগী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাই পুলিশের সহায়তা না পেয়ে শঙ্কিত আছেন সোহেলের পরিবার। 

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে  জানা গেছে, ভুক্তভোগী ও মামলা আসামিরা পল্লবী থানাধীন একই এলাকার বাসিন্দা।

গত ৪ জানুয়ারি ভুক্তভোগী সুমনের কাছে জনি ২০ হাজার টাকা ধার চান।  ধার দিতে না চাইলে সোহেলকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এর পরদিন ভুক্তভোগীর বাসার পাশেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর ১২নং সেকশনের ডি ব্লকের রাস্তায় আসামিরা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন চাঁদা দিতে রাজি না হলে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করে।
একপর্যায়ে সোহেলের মুখের বাম পাশে জনি দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত করে। 

এছাড়া আসামি জাহিদ ও মুসার হাতে থাকা চাকু ও কাঁচি দিয়ে ভুক্তভোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশে পোজ দিয়ে রক্তাক্ত করে। এমন সময় ডাকচিৎকারে সোহেলকে তার স্ত্রী রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে জনি ও শাওন তাকে মারধর করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় জনি কেচি দিয়ে সোহেলের স্ত্রীর মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে তারা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

তবে সোহেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাঁচ দিন চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফেরেন। 

মো. সোহেল বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় সোহেলের পরিবার আতঙ্কে রয়েছেন। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। অথচ তাদেরকে একজনকেও পুলিশ এখন পর্যন্ত আটক করেনি।

তবে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এস আই তোফায়েল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ থাকায় ট্র্যাকিং করে ধরতে একটু সময় লাগছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য