বিশ্ব ইজতেমার আর বাকি ১৭ দিন, প্রস্তুতিতে তোড়জোড়
আর মাত্র ১৭ দিন পর শুরু হবে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসমবেশ বিশ্ব ইজতেমা। বৃহত্তম এই কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। দুই ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা। সারা মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসম্মেলন এটি।
এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে নয় ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে উভয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান নিবেন।
কহরদরীয়া নদের তীরবর্তী ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ময়দানের উত্তর পশ্চিমে তৈরি হচ্ছে বয়ানমঞ্চ। এবং পশ্চিমপ্রান্তে কামাড়পাড়া বিজ্র সংলগ্ন বিদেশি মেহমানদের থাকার ঘর।
গতবারের ন্যায় এবারও প্রথম পর্বে যোবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করছে। এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমা আয়োজন করবে। মাওলানা জোবায়ের অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইজতেমা মাঠের মুসল্লি মুফতি কামাল উদ্দিন জাহানপুরী বলেন, আল্লাহর কাজে স্বেচ্ছায় শ্রম, অর্থ ও সময় দেওয়া এর চেয়ে বড় নজির নেই। আল্লার কাজে দ্বিনের দাওয়াতে মেহনত করা, আল্লাহকে রাজি খুশি করা। দ্বিনের মেহনত করলে এর ইজ্জত আল্লাহ তা-আয়ালাই দিবেন। কোরআনে রয়েছে আল্লাহর কাজে জান মাল অর্থ সময় দিয়ে সাহায্যকারী হও, তাহলে আখেরাতে জিহাদের সমতুল্য মর্যাদা পাবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বর্তমান সরকারের পর্যবেক্ষণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগত মুসল্লিদের সেবায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ময়দানের চারপাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করে টয়লেট ও গোসল করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে আগত মুসল্লিদের সেবায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।