চৌধুরী সাহেবের হয়তো অনেক টাকা আছে, দিল নাই: মাহি

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

রাজশাহী-১ (তানোর- গোদাগাড়ী) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর অনেক টাকা থাকলেও তার দিল নেই বলে মন্তব্য করেছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জনপ্রিয় চিত্রনায়িতা মাহিয়া মাহি। গতকাল বৃহম্পতিবার তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নে গণসংযোগকালে এ কথা বলেন তিনি।

ওমর ফারুক চৌধুরীর কঠোর সমালোচনা করে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘সিনেমায় দেখেছি, চৌধুরীকে নিয়ে ডায়লগ দেয়- এই চৌধুরী সাহেব, মেহনতি মানুষ আপনার থেকে অনেক শক্তিশালী। কারণ মেহনতি মানুষের সঙ্গে সাধারণ জনগণ থাকে। চৌধুরী সাহেবের হয়তো অনেক টাকা আছে। কিন্তু তার মন নাই, দিল নাই। তিনি মানুষকে ভালোবাসতে পারে না।’

ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মাহি বলেন, ‘তিনি (ওমর ফারুক চৌধুরী) আপনাদের সঙ্গে বসে চায়ের দোকানে চা খেতে পারে না। কারণ তার তো অনেক টাকা। তিনি এসি রুমে বসে থাকবেন। আর খালি মানুষকে শাসন করবে, আর ওখান থেকে ভয় দেখাবে। আমি এখানে এসেছি কারণ, এই জমিদারি প্রথার অবসান চাই।’

আজ শুক্রবারও তানোরের কলমা ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওমর ফারুক চৌধুরীর সমালোচনা করেন মাহিয়া মাহি। বলেন, ‘সিনেমায় যেমন চৌধুরী সাহেবের অহংকারী হয়, মানুষকে শোষন করে শাসন করে, চরম লেভেলের খারাপ মানুষ হয়। তাকে দেখে মেহনতি মানুষ থরথর করে কাঁপে। সামনেও যেতে পারে না। বাস্তবে সেটার প্রমাণ পাচ্ছি। এখন ভোটের মাঠে এখন আমি সেই চৌধুরীকেই দেখছি। পর্দার চৌধুরীরা যেমন নায়ক-নায়িকার কাছে পরাজিত হয়, এই তানোর-গোদাগাড়ীর মাঠেও এরকম অহংকারী চৌধুরী সাহেবের কোনো ভ্যালু নেই।’

জনপ্রিয় এ চিত্রনায়িকা বলেন, ‘এই স্বাধীন বাংলাদেশে জমিদারি প্রথার কোনো ভাত নাই। এই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন থাকতে চায়। নিজের খেয়ে, নিজের পরে, নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। কাউকে ভয় পেয়ে বাঁচতে চায় না। কথা সত্য কি না? আমি নির্বাচন করছি ট্রাক মার্কায়। সবাই ৭ তারিখে ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটের মাধ্যমে আমাকে জয় করে সেই চৌধুরী সাহেবকে কাঁন্দাইতে হবে। চৌধুরীকে কাঁদতে হবে। কেন কাঁদবেন, তিনি সেদিন বুঝতে পারবেন।’

ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মাহিয়া মাহি বলেন, ‘তানোর-গোদাগাড়ীর মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক, শিক্ষক তাকে (ওমর ফারুক চৌধুরী) ভালোবাসে না। তিনি শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করান। শিক্ষককে মারেন। তিনি এত বড় জমিদার সাহেব হয়ে গেছেন। আমাদের শক্তি বেশি না জমিদারের শক্তি বেশি। জনগণের শক্তি বেশি। আমরা সবাই যদি একজোট হই তাহলে তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘আমি আজকে আমার কাজ-কর্ম ছেড়ে এই নির্বাচনের মাঠে নির্বাচন করতে এসেছি। কেন জানেন, আমার একটাই উদ্দেশ্য। সেটা জানেন, এই তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষের কোনো বাক্‌-স্বাধীনতা নেই। তারা কোনো কথা বলতে পারে না। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে না। কেন পারে না, ভয়ে পারে না। কেন একটি মানুষকে সবাই এত ভয় পায়? আজব! একটা সিংহ ছেড়ে দিলেও তো মানুষ এতো ভয় পাবে না, কিন্তু আপনারা ওই চৌধুরীকে এত ভয় পান।’

এ বিভাগের অন্যান্য