পল্লবীতে ব্যবসায়ী হত্যা: সাবেক এমপিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে শাহিন উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় লক্ষীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ সম্পূরক চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মনির হোসেন। আগামী ১২ অক্টোবর মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

সম্পূরক চার্জশিটের অন্য আসামিরা হলেন তাহের, সুপন বেপারী, মুরাদ, টিটি শেখ ওরফে টিটু, গোলাম কিবরিয়া খান, ইব্রাহিম সুমন ওরফে বাওয়া সুমন, শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, রকি তালুকদার ওরফে রকি, নুর মোহাম্মদ হাসান মোতাইত, ইকবাল হোসেন ওরফে ইতবাল নুর, শরিফ, তৌরিকুল ইসলাম ওরফে ইমন, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন ও প্রতীক আহম্মেদ সজীব।

গত বছরের ১২ মে আদালত শাহিন উদ্দিনের মায়ের নারাজির আবেদন গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে পিবিআইকে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেন।

এ বছর ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। এ মামলায় ১৩ আসামি কারাগারে আছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০২১ সালের ১৬ মে শাহিন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম বলেন, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেলে সুমন ও টিটু নামের দুই তরুণ শাহিন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেয়। শাহিন উদ্দিন পল­বীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন তাকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়।

তখন শাহিন উদ্দিনের ৬ বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরেই ছিল। গ্যারেজে নিয়ে তাকে তারা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য