জামালপুরের ডিসিকে সরিয়ে দিল সরকার

সিলেটের সময় ডেস্ক :

আওয়ামী লীগকে ফের ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইমরান আহমেদকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে, অপর প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন একাডেমির উপপরিচালক (উপসচিব) মো. শফিউর রহমানকে জামালপুরের ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর গতকাল মো. ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ স্থানীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজমের উপস্থিতিতে জনবহুল এক সভায় বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্যে তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সঙ্গে তিনি (ইমরান আহমেদ) স্থানীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজমকে আগামী নির্বাচনের পর মন্ত্রী হিসাবে দেখার আশা প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের কর্মকর্তাকে পক্ষপাতহীন, নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। এটি সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট সব আইনের অর্থ ও অর্ন্তনিহিত চেতনা। সংবিধানের ১২০ ও ১২৬ নং অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৫ ও ৯১ (গ) নম্বর অনুচ্ছেদসহ আরও বিভিন্ন আইন ও ধারায় এ বিষয়টি সুষ্পষ্ট। নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের এখতিয়ার কেবল তফসিল ঘোষণার পর নয়, সব সময় বিদ্যমান থাকে।

ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসকরা সাধারণত রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং নির্বাচনের সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করে থাকেন। বর্ণিত অবস্থাধীনে সরকার, গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর জনমানুষের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে মো. ইমরান আহমেদকে উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো রূপ নির্বাচনী দায়িত্ব প্রদান করা থেকে বিরত রাখা সমীচীন হবে এবং একই সঙ্গে জেলা প্রশাসকগণকে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকতে সতর্কবার্তা দেওয়া প্রয়োজন মর্মে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য