গৃহবধূকে কুপিয়ে আঙুল কেটে দিলেন ছাত্রলীগ নেতা দুভাই, স্বামী হাসপাতালে

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্মরণ (২২) ও তার ছোট ভাই সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েক (২০) বিভিন্ন এলাকায় পাখি শিকার করেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন। আর পাখি শিকারের ছবি উঠানোর সন্দেহে পিতার সামনেই আসমা বেগম (৪০) ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৪৫) প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে ওই ছাত্রলীগ নেতারা। এতে আসমা বেগমের হাতের ৪টি আঙুল কেটে পড়ে যায়।

শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ ও তার পিতা টিপুকে গ্রেফতার করেছে।

ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ ও সায়েক কাঁঠালবাড়িয়া স্টেডিয়ামপাড়ার সেলিম ইবনে টিপুর ছেলে। আর ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী একই পাড়ার বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী সোলাইমান বলেন, স্মরণ ও সায়েক দীর্ঘদিন থেকে বন্দুক দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পাখি শিকার করে আসছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। সম্প্রতি জানাজানির এ বিষয়টি আসমা বেগম ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন প্রচার করেছেন বলে তারা সন্দেহ করেন। পরে তারা এ বিষয়টি প্রচার করেননি বলে স্মরণ ও সায়েকের পিতাকে বলতে আসেন। এ সময় স্মরণ ও সায়েক তার পিতার সামনেই ওই দুজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল আমিন বলেন, ওই নারীর একটি হাতের চারটি আঙুল পুরোপুরি কেটে গেছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তাকে গত রাতে দ্রুত রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর তার স্বামীকে এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা গরিব অসহায় পরিবার। শুধুমাত্র সন্দেহের জেরে তার ওপর প্রকাশ্যে অমানুষিকভাবে হাঁসুয়া দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পিতা-পুত্রসহ তিনজনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে থানার ওসি ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনকে কোপানোর ঘটনায় ওই পরিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত স্মরণ ও তার পিতা টিপুকে গ্রেফতার করেছে। রোববার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য