বাবর-ইফতিখারের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের রানের পাহাড়
খেলাধুলা ডেস্ক ঃ
নেপালের বিপক্ষে প্রথম ২৮ ওভারে ১২৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল পাকিস্তান। বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের জোড়া সেঞ্চুরিতে শেষ ২২ ওভারে দলটি তোলে ২১৭ রান। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ১৩৪ বলে দুজনে গড়েন ২১৪ রানের জুটি। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে দলটি।
তিনে নেমে ১৩১ বলে ১৫১ রান করে আউট হন বাবর। ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। ছয়ে নামা ইফতিখার ছিলেন আরও আগ্রাসী। স্ট্রাইকরেট দেড়শর ওপরে রেখে তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৯ রানে। তার ৭১ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ৪ ছক্কায়। বাবর-ইফতিখারের ২১৪ রানের জুটি পঞ্চম উইকেটে পাকিস্তানের সর্বেোচ্চ আর বিশ্বে ষষ্ঠ।
এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান। দলীয় ২১ রানের মাথায় করন কেসির বলে ফেরেন ফখর (১৪)। তার চার রানের মাথায় রান আউটে কাটা পড়েন ইমাম। তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ানকে নিয়ে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবর। তবে দলীয় ১১১ রানে আবরও সেই রান আউট দুর্ভাগ্যে ফেরেন রিজওয়ান। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আগা সালমানও। ১২৪ রানের মাথায় সন্দ্বীপ লামিচানের বলে আউট হন তিনি।
৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের রানের গতি যখন স্লথ, তখনই ঘুরে দাঁড়ায় বাবর-ইফতিখার জুটি। এই দুজন নিজেদের প্রথম ৫০ রানের জুটি গড়েন মাত্র ৩৯ বলে। দলীয় ২০০ রান পূরণ হয় ২২৮ বলে। এরপর যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন তারা। পরের ৫০ রান আসে মাত্র ২৪ বলে। এরই মধ্যে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি করেন ১ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ের বাবর। ৪৭তম ওভারে পাকিস্তান তাদের ৩০০ রান পূর্ণ করে। শেষ ৩ ওভারে ৪২ রান করলে পাকিস্তানের মোট রান দাঁড়ায় ৩৪২। ইফতিখার তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ৬৭ বলে।
নেপালের বোলারদের মধ্যে ২টি উইকেট পান সোমপাল কামি। ১টি করে উইকেট পান করন কেসি ও সন্দীপ লামিচানে। তবে কোনো উইকেট না পেলেও বেধরক মার খাওয়ার দিনে ১০ ওভার বল করে মাত্র ৪৮ রান দেন ললিত রাজবংশী।
বিশ্বকাপের এটি ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচ। ৬ দলের টুর্নামেন্টে দুই ভাগ হয়ে খেলা হচ্ছে। গ্রুপের অন্য দলটি ভারত। এই গ্রুপের শীর্ষ ২টি দল খেলবে সেমিফাইনালে।