বেইলি সেতু ভেঙে ট্রাক ডুবে চালক-হেলপারের মরদেহ উদ্ধার

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের জগন্নাথপুর উপজেলা নলজুর নদের কাটাগাঙ্গের ওপর বেইলি সেতুর ভেঙে ট্রাক ডুবে চালক ও হেলপার নিখোঁজের দুই ঘন্টার মহদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ইছগাঁও নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ গ্রামের ট্রাক চালক ফারুক মিয়া ও সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ধুপাতল এলাকার বাসিন্দা হেলপার জাকির আহমদ কলিন্স (৩৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে আসা ৫০০ বস্তা সিমেন্ট ভর্তি একটি বড় ট্রাক বেইলি সেতু পাড় হওয়ার সময় উত্তর পাড়ের অ্যাপ্রোচে অতিরিক্ত স্টিল দিয়ে তৈরি করা বেইলি সেতু ভেঙে ট্রাকটি নলজুর নদীতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
পরে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারি পরিচালাক মো. তারেক হাসান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ডুবুরী নবীর উদ্দিন ও জুম্মন আহমদ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। দুই ঘন্টার পর পানির প্রায় ৫০ ফুট নিচে থাকা ট্রাক থেকে ওই চালক ও হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে সিমেন্ট ভর্তি ট্রাকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জজেলাবাসীর সরাসরি যানচলাচল ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিয়ান বিন ইব্রাহিম ভূঞা বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সেতুটি মেরামতের কাজ করে চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক এ মহাসড়কে জগন্নাথপুর উপজেলার ইছগাঁও নামক স্থানে বহমান নলজুর নদীর উপর (কাটাগাঙ্গ) ২০১২ একটি বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ১৩ জুন সেতুটির দক্ষিণ অংশের অ্যাপ্রোচের মাটি ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়। একই বছরে ১৩ জুলাই আবার মাটি ধসে একই স্থানে দ্বিতীয় বার গর্তের সৃষ্টি হলে অ্যাপ্রোচে অতিরিক্ত স্টিল দিয়ে মেরামত কাজ করা হয়। পরে আবার ২০২২ সালে ১৫ জুলাই সেতুটির উত্তর অংশের অ্যাপ্রোচের মাটি ধসে গর্তের সৃষ্টি হলে অ্যাপ্রোচে অতিরিক্ত স্টিল দিয়ে মেরামত কাজ করা হয়। এছাড়া কয়েকদিন পর পর সেতুটির পাটাতন খুলে গেলে মেরামত করা হয়। পরে আবার ১১ মার্চ রাতে সেতুটির একটি পাটাতন খুলে নদীতে পড়ে গেলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন নতুন পাটাতন লাগানো হলে যানচলাচল শুরু হয়। সর্বশেষ গত ১৬ জুলাই আবার পাটাতন খুলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিভাগের অন্যান্য