দলের নিবন্ধন না পেয়ে যা বললেন নুর

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পতন ঘটিয়ে নিবন্ধন নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অঙ্গীকার জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (একাংশ) নুরুল হক নুর।

রোববার দলটির নিবন্ধন আবেদন নাকচ হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

নুর বলেন, দলগুলোর নিবন্ধনে যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক একজন উপসচিব ও অতিরিক্ত জেলা জজ। যিনি আইন-কানুন সম্পর্কে ভালো বোঝেন। তার সঙ্গে কথা বলে দেখেন, তিনি তদন্ত প্রতিবেদন কী দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের কপিও আমাদের হাতে আছে। তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে লিখে দিয়েছেন, গণঅধিকার কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারা নিবন্ধনের যোগ্য, এটা তদন্ত কমিটি লিখেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকার ও এজেন্সির পরামর্শে আমাদের নিবন্ধন দেয়নি। নিবন্ধন দেয়নি ভালো, তবে আমরা এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতন ঘটিয়েই আগামী নির্বাচনের আগে নিবন্ধনও নেবো এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আরও বলেন, যে দুটি দলকে তারা আজকে নিবন্ধনের জন্য চূড়ান্ত করলো, এ দুটি দলের কার্যক্রম মাঠে কতদিন আপনারা  দেখেছেন? এদের হেড অফিস কোথায় আপনারা কেউ দেখেছেন? আমি তাদের বলেছি, গুগলে সার্চ দিয়ে দেখেন, তাদের দলের কার্যক্রম সম্পর্কে মূল ধারার গণমাধ্যমে কোনও সংবাদ পান কিনা। তাহলে এরা কোথা থেকে নিবন্ধন পেলো, কারা এদের বানালো। শেখ হাসিনা সরকার বানিয়েছে, এই ১৪ দল থেকে যেন আগামীতে ২০ দল হতে পারে এবং বিএনপিকে টেক্কা দিতে পারে। তাই এজেন্সির পরামর্শে নির্বাচন কমিশন এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন যে সরকারের আজ্ঞাবহ এবং তারা যে দলদাস ভূমিকায় অবতীর্ণ—সেটি তারা প্রকাশ করেছে।

নুর বলেন, আমরা বারবার বলেছি, এই মেরুদণ্ডহীন দলদাস কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। যে কারণে বিরোধী দলগুলো একদফা দাবিতে আন্দোলন করছে। আমাদের ঘোষণা পরিষ্কার—নিবন্ধন ও নির্বাচনে সময়ক্ষেপণ করে মূল ফোকাস থেকে দূরে সরে যেতে চাই না। বর্তমানে একদফা আন্দোলন চলছে। একদফা হচ্ছে সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন।’

প্রসঙ্গত, রোববার ইসির সভায় আলোচনার জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি দলকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ১০টি দলের নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের তথ্যের মিল পায়নি নির্বাচন কমিশন। ফলে দলগুলোকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ইসি।

কমিশনসভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে বিএনএম ও বিএসপি নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল সোমবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে কারও কোনো আপত্তি থাকলে তা ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করে কমিশনপরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আপত্তি নিষ্পত্তির পর কমিশন সন্তুষ্ট হলে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য