তারাপুর চা বাগানে ফের অভিযান,১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ

নিউজ ডেস্ক: দুইদিন পর সিলেটের তারাপুর চা বাগানে আবার অভিযান চালিয়েছে সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন। বুধবারের অভিযানে বাগানের টিলাভ’মি দখল করে নির্মিত ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোজিনা আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

সিলেটের আলোচিত দেবোত্তোর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দীর্ঘ ২৫ বছর পর শিল্পপতি রাগীব আলীঅর দখলে ছিলো। ২৫ বছর পর ২০১৬ সালে আদালতের নির্দেশে সেবায়েত পংকজ গুপ্তকে ৪২২ একর আয়তনের এই চা বাগান বুঝিয়ে দেওয়া হয়। চা বাগানটির আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।

তবে এই চা ভুমি এখনও বিভিন্ন গোষ্টি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি তারাপুরের ‘দুসকি’ ও ‘মোহাম্মদপুর’ এলাকায় চা ভূমি দখল করে নির্মাণ করা হয় শতাধিক স্থাপনা। গত রোববার এসব স্থাপনা উচ্ছেদে প্রথমবারের মতো অভিযান চালায় সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে গুড়িয়ে দেওয়া হয় বাগান দখল করে নির্মিত ১১টি স্থাপনা। এরপর বুধবার ‘দুসকি’ এলাকার ‘পোয়াইল টিলায়’ ২য় দফা অভিযানে আরও ১১ টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বুধবার উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে দখলদাররা বাধা প্রদানের চেষ্টা করে। এসময় চিৎকার-চেচামেচি শুরু করেন তারা। তবে বাধা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ চালায় প্রশাসন।

এখনও বাগানের ভেতর আরও বেশ শতাধিক স্থাপনা রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পংকজ গুপ্ত।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোজিনা আক্তার বলেন, সব অবৈধ স্থাপনাইই উচ্ছেদ করা হবে। আমরা ঈদের পরে আবার অভিযান চালাবো।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বাগানে নতুন করে কোনো স্থাপনা তৈরি হবে না। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা অমান্য করার কারণে সম্প্রতি বাগানের জমিতে বেশকয়েকটি স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, ২৫ বছর পর ২০১৬ সালের ১৫ মে শিল্পপতি রাগিব আলীর দখল দেবোত্তর সম্পত্তি সিলেটের তারাপুর চা-বাগান উদ্ধার করে সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। এরআগের আগের বছর বাগানটি সেবায়েতকে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাগানটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দেন আদালত।

এ বিভাগের অন্যান্য