স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক স্পীকার, খ্যাতনামা কূটনীতিবিদ হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০১ সালের ১০ জুলাই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭২ বছর বয়সে ঢাকায় পরলোক গমন করেন।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর সিলেট শহরের দরগা গেইটস্থ রশিদ মঞ্জিলে। পিতা আব্দুর রশিদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় বিধান সভার সদস্য এবং মাতা সিরাজুন নেছা চেীধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য।
হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী সিলেট সরকারী আলীয়া মাদ্রাসার হাই মাদ্রাসা সেকশনে প্রাথমিক শিক্ষা ও আসামে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ১৯৪৭ সালে ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেনো। পরবর্তীতে তিনি ইংলিশ বারে অধ্যয়ন করেন এবং লন্ডনের ইনার টেম্পলের একজন সদস্য হন।
লন্ডনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রীঅ তিনি অর্জন করেন। এছাড়া ম্যাসাচুসেটসের ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে স্নাতক ডিগ্রীও অর্জন করেছিলেন।
১৯৫৩ সালে হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী তৎকালীন পাকিস্তানের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করেন। কূটনীতিবিদ হিসেবে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে অবস্থান করেছিলেন। তন্মধ্যে রোম, বাগদাদ, প্যারিস, লিসবন, জাকার্তা এবং নতুন দিল্লী অন্যতম।
১৯৭২ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানীতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭৬ সালের পর সুইজারল্যাণ্ড, অস্ট্রিয়া এবং ভ্যাটিকানেও একই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ এবং জাতিসংঘের শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন সংস্থা বা ইউনিডো’র প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি তিনি ছিলেন ।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তৎকালীন সময়ে তিনি নতুন দিল্লীতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ছিলেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বীকৃতির জন্য যোগাযোগ রক্ষা করেন তিনি।
হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী সিলেটে-১ আসন (সদর- কোম্পানীগঞ্জ) থেকে ১৯৮৬ সালে ৩য় সংসদ, ১৯৮৮ সালে ৪র্থ সংসদ এবং ১৯৯৬ সালে ৭ম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৪ জুলাই তিনি সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদের স্পীকার নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু তিনি এ পদে বহাল ছিলেন।