সিলেট আইনজীবি সমিতির বৈঠক: দুই আইনজীবির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে আদালত চত্বরে অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক স্থগিত করা দুই আইনজীবির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিলেট আইনজীবি সমিতি। দুই আইনজীবি হলেন এডভোকেট মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী ও এডভোকেট একরামুল হাসান শিরু। সোমবার (১ জুলাই) সিলেট জজ কোর্টের ২নং বার হলরুমে অনুষ্ঠিত সিলেট আইনজীবি সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে উপস্থিত সিলেট বারের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী।

সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট জামিলুল হক জামিল। সভা পরিচালনা করেন আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হোসেন আহমদ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সামিউল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ লালা, সাবেক সভাপতি এডভোকেট আব্দুল খালেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, সিনিয়র আইনজীবি ও স্পেশাল পিপি এডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী, এডভোকেট এটিএম ফয়েজ আহমদসহ সিনিয়র আইনজীবিরা। এসময় সিলেট আইনজীবি সমিতির শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, গত ১৭ জুন সোমবার একটি মামলার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে দুই পক্ষের আইনজীবিদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এতে আইনজীবি সমিতির এক জরুরী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এডভোকেট মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী ও এডভোকেট একরামুল হাসান শিরুর সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিতসহ উভয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশের জবাব প্রদানের জন্য ৭ দিনের সময় বেঁধে দেয় আইনজীবি সমিতি। নোটিশের জবাবের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে এক বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করে আইনজীবি সমিতি।

এ ব্যাপারে সিলেট বারের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী বলেন, বিগত ১৭ তারিখ একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবি সমিতির দুই আইনজীবির সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছিল। সমিতির বেঁধে দেয়া সময়ে তারা কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব প্রদান করেন। আজকের বিশেষ সাধারণ সভায় তারা দুজন উপস্থিত থেকে নিজেদের বক্তব্য পেশ করলে তা সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে গৃহীত হয়। সে কারণে সর্ব সম্মতিক্রমে তাদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য