পুলিশের এক বাতিঘর জেদান আল মূসা
সিলেটের আতিয়া মহলে বোমা বিস্ফোরণে আহত শিরিন মিয়ার চিকিৎসা ব্যয়ের দায়িত্ব নিলেন এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার জেদান আল মূসা।
‘টাকার অভাবে বন্ধ আহত শিরিনের চিকিৎসা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যান তিনি। হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন শিরিনের চিকিৎসা ব্যয়ের পাশাপাশি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এডিসি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ওসমানী মেডিকেল ক্যাম্পের আনসার কমান্ডার নাছির আহমদ, চিত্র সাংবাদিক আজমল আলী, ব্যবসায়ী কাউছার আহমদ, আরিফ খান, সাদ্দাম হোসেন। পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও আনসার সদস্য ও ব্যবসায়ীরা শিরিনের চিকিৎসার অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব নেন।
এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) জেদান আল মূসা বলেন, শিরিন মিয়ার কষ্টের সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে যাই। তার চিকিৎসা ব্যয় ও চিকিৎসা শেষে একটি দোকান করে দেব।
আহত শিরিন মিয়া বলেন, কয়েকদিন পর পর স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষত স্থানে ব্যাথা শুরু হয়। তখন আবার হাসপাতালে আসতে হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন অস্ত্রপাচার করা লাগবে। কিন্তু টাকা পয়সা না থাকায় অপারেশন করাতে পারছিলাম না।
২০১৭ সালের ২৫ মার্চ সিলেটের আতিয়া মহলে অপারেশন টোয়াইলাইট চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন সুনামগঞ্জে দিরাইয়ের ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে শিরিনি মিয়া। ওই ঘটনার সময় তিনি নগরীর শিববাড়ির ড্রাইভার রেস্টুরেন্ট-এ বাবুর্চি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্প্লিন্টারের আঘাতে পঙ্গুত্ব বরণ করে প্রথম দফায় প্রায় চারমাস ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরে চলাফেরা ও কাজ করতে না পারায় চাকরিও চলে যায়। অভাবের কারণে সন্তানকে নিয়ে বউ বাবার বাড়ি চলে যায়। গেল মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় ফের হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেটের চিত্র সাংবাদিক আজমল আলী। আতিয়া মহলের বোমা বিস্ফোরণে তিনিও আহত হন। স্বজনরা এগিয়ে না আসায় ২০ দিন ধরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে আছেন তিনি। সেখানে অস্ত্রপাচার করার টাকাও পাচ্ছেন না।