বঙ্গবন্ধু: মোঃ মিজাহারুল ইসলাম
বঙ্গবন্ধু তুমি মিছিলে স্লোগানে স্লোগানে বুনেছ স্বপ্নের জাল
তুমি মুক্তির কবি কালের কালিতে লিখেছ সময়ের মহাকাল।
তোমার দারুণ স্লোগানে ঝড় উঠে জনতার মিছিলে
মুক্তির পথ দেখালে তুমি- ইশারায় হাত তুলে।
লক্ষ লক্ষ অধীর-ব্যাকুল জনতা সেই ইশারা পেয়ে
কামানের মুখে রাখে বুক- সম্মুখে যায় এগিয়ে।
তখন তোমার প্রতীক্ষায় পুরো জাতি নিশ্চুপ পাখিদের কলরব
কন্ঠে তোমার বজ্রধ্বনি ময়দানে ময়দানে মিছিলের উৎসব।
ক্ষমতার মোহে শত্রুর হাতে হাত রাখোনি তুমি নির্জনে
তুমি মৃত্যুর শ্মশানে দাঁড়িয়ে আপোষ করনি মৃত্যুর সনে।
চরণে বরণ শৃঙ্খলবেড়ি ললাটে শাসকের লাল কারাগার
তুচ্ছ করে কারাশৃঙ্খল ঘোষণা দিয়েছ প্রিয় স্বাধীনতার।
মানুষে মানুষে ভুলে ভেদাভেদ- ইস্পাত দৃঢ় মনোবল
ক্ষুদিরাম তিতুমীর কাঁধে কাঁধ মুক্তির পথে অবিচল।
দমনে পীড়নে কামানের গর্জনে নামে মার্চের ভয়াল রাত।
স্ট্যানগান হাতে মানুষের খোঁজে ভুট্টোর কালো হাত।
বুলেটে বেয়নেটে নির্দয় নিধন চলে সীমাহীন অত্যাচার,
দুধের শিশুও বাঁচেনি সেদিন-আকাশে বাতাসে নিদারুণ হাহাকার।
নিপীড়িত নিগৃহীত কত বোন-কত মায়ের সম্ভ্রম সংহার!
আনত মস্তকে লজ্জিত মুখে শয়তান মেনেছে হার।
বুলেটের ঝড়ে বারুদের গন্ধ বাতাসে আগুনের লেলিহান
লাশের সিথানে লাশ পড়েছে ঘুমিয়েছে বাংলার সন্তান।
পদ্মা মেঘনা যমুনা কাঁদে,ছলছল চলে জল
কত লাশ বুকে নিয়ে বয়ে গেছে অবিরল।
কেউ ফিরেছে নিজ ঘরে কারও বা মিলেনি খোঁজ
তবুও দমেনি বীর বাঙালি নির্ভয়ে মরেছে রোজ।
নির্ভীক বীর নির্ভয়ে চলে শত্রুর ঘটে মহাপ্রলয়
বিজয়ের হাসি হেসে আসে অবশেষে বাংলার জয়।
তুমি সেই বীর- মহাবীর নিঃশ্বাসে কর বসবাস
তুমি শ্রেষ্ঠ বিজেতা জাতির পিতা বাংলার ইতিহাস।