সিলেটে অভিনব কায়দায় সংবাদকর্মীর মোবাইল ছিনতাই

স্টাফ রিপোর্টার
নবীন সোহেল সিলেটের একটি দৈনিকে কাজ করেন। প্রতিদিন প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার দুপুর ১২টায় নগরীর হুমাযুন রশীদ থেকে বন্দরবাজার আসার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন। গাড়ির সামনে সিটে চালকের বামপাশে একজন তরুণ বয়সের যাত্রী। পিছনে দুইজন তরুণ বসা। তিনি তাদের বামপাশের সীটে বসেন। সিএনজিতে আরো একজনের সীট খালি থাকলেও আর কোনো যাত্রী তুলেন নি চালক। সিএনজি চালক বেশ দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে থাকলে তিনি বাঁধা দেন। তবুও চালক শুনেনি। ১০টাকা ভাংতি আছে কিনা বললে তিনি ম্যানিব্যাগ বের করে ১০টাকার একটি নোট চালকের পাশে বসা যাত্রীর হাতে দেন। ব্রীজে উঠার পর একসময় আমার ডান পাশে বসা যাত্রীর মোবাইল সিএনজিতে পড়ে গিয়ে মোবাইলের কাভার খুঁলে যায়। সোহেল কুঁড়িয়ে কুঁড়িয়ে পার্সগুলো তার হাতে তুলে দেন। মেমোরী কার্ডটি পিছনের তিনজনই খুঁজতে থাকেন। চালককে গাড়িটি ধীরে ধীরে চালাতে বললেও যেন শুনছেনা। সিএনজি অটোরিকশাটি মেন্দিবাগের দিকে রওয়ানা দিলে তিনি বলেন বন্দর বাজার যাবেন। তখন ৩ যাত্রীসহ চালক বলেন, তারা জরুরী কাজে মেন্দিবাগ যাবেন। এ নিয়ে চলন্ত অবস্থায় তাদের সাথে তর্ক ও হট্টগোল করে তাকে অন্য মনষ্ক করে ফেলে। তিনি নেমে যেতে বললে জালালাবাদ গ্যাস ভবনের একটু সামনে গিয়ে রাস্তার ডানপাশে তাকে নামিয়ে দিয়ে ভাড়া ফিরত দিয়ে বলে ভাড়া লাগবে না, নামেন আপনি। এসময় তিনি বলেন, ৫টাকা ভাড়া নিয়ে যান। পাশের একটি চায়ের দোকানের দিকে ভাংতি আনার জন্য পেছন ফিরতেই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে তারা চলে যায়। এমন কান্ড দেখে দেখে তার সন্দেহ হয়। সাথে সাথে পকেটে হাত দেখেন পকেটে থাকা মোবাইল ফোনটি নেই। এর অনেক আগেই কৌশলে তাদের কাজটি সেরে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। পরে আরেকটি সিএনজি অটোরিকশাকে ডেকে তাদের পিছু নেয়ার চেষ্ঠা করে ধরা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় তিনি রোববার কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন (ডায়রী নং ১৬৫ )।
গত কয়েকদিনে নগরীতে একই কায়দায় বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘঠেছে। অনেককে ভর দুপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লূট করছে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি সরকারী কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মি কিংবা কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরাও। দিন দিন নগরী ও আশপাশের এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্রটি। ছিনতাই রুখতে পুলিশ বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করলেও থামছে না ছিনতাই। বরং ছিনতাইকারীরা কৌশল পাল্টিয়ে দলবদ্ধভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অনায়াসে।
এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা জানান, ছিনতাই প্রতিরোধে মেট্রোপলিটন পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। নগরীতে ছিনতাই রোধে গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি ছদ্মবেশে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। ছিনতাইকারীরা যতই কৌশল পাল্টায় না কেন তাদের ধরতে কৌশলী হবে পুলিশও।

এ বিভাগের অন্যান্য