সিলেটে আইসিটি সচিব জুয়েনা আজিজ: জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে স্বপ্নই দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

মবরুর আহমদ সাজু
প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কিত কোর্সের উদ্বোধনী অনষ্ঠানের প্রকল্প সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মিজ জুয়েনা আজিজ বলেছেন প্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, কল সেন্টার এজেন্ট ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী হিসেবে নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে চলমান দশটি কর্মসূচীর মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন একটি। দেশে ক্রমাগত তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ছাড়া জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে নারীকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। তথ্য প্রযুক্তির গত জ্ঞান নিয়ে নারীদের এগিয়ে চলতে হবে দূর্বার গতিতে । প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের আয়োজনে শনিবার সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কোর্স এবং বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রকল্প সহকারী পরিচালক সজীব আহমদের পরিচালনায়, প্রধান অতিথি মিজ জুয়েনা আজিজ আরো বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আইসিটি সেক্টরে নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, নারী উদ্যোক্তা তৈরি পাশাপাশি আইসিটির জ্ঞানের মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়িত করার লক্ষ্যে সি পাওয়ার প্রকল্পসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন,তথ্যপ্রযুক্তি হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের হাতিয়ার, সময়ের বির্বতনে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় অগ্রগতির নতুন সোপানে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আলোর পথে এগুচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় বাস্তব। বিশেষ করে আজকের বর্হি:বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করে, কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ গ্রাম-শহরে নারীর কর্মজীবনকে দৃশ্যমান করেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে নারী সমাজের অংশগ্রহণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামে কম সুযোগ পাওয়া নারীর জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আইনি পরামর্শ সহজলভ্য হওয়ার কারণে নারীর জীবনযাত্রার মানে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। সুতারাং আর পিছিয়ে থাকার সময় নেই সময় এখন এগিয়ে যাবার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত, সচিব মো. মামুন আল রশীদ, প্রকল্প পরিচালক,প্রযুক্তি সহায়তা নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প’র মো. সোলায়মান মন্ডল। বক্তারা বলেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দটি এখন বাংলাদেশে এগিয়ে যাওয়া প্রতিটি তারুণ্যের মুখে মুখে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মানেই শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা মানেই ডিজিটাল বাংলাদেশ’। বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে দ্রুত অগ্রগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই সরকারের আমলের একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন, যা দেশকে দুর্বার গতিতে বিশ্ব দরবারে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একুশ শতকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সুনামের সহিত দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ‘২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণই ছিল তাদের নির্বাচনি ইশতেহারের প্রধান বিষয়। এবার গ্রাম হবে শহর তারা বলেন , গ্রাম গ্রামই থাকবে কিন্তু গ্রামে শহরের সবধরনে সহযোগিতা দেয়ার নামই গ্রাম হবে শহর। বক্তারা আরো বলেন, ২০০৮ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা করে যে ‘২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হবে। হাইটেক পার্ক সিলেটতথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে একটি বিনিয়োগ বোর্ডের ১২ তম সভায় এই অঞ্চলের মানুষের কথা বিবেচনা করে সিলেটে হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেটে হাই-টেক পার্ক স্থাপন করে সিলেটবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে সিলেটকে প্রযুক্তির নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। সুতারাং চিন্তার কোনো কারন নেই হাইটেক পার্কে হবে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্নই দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বস্তুত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মাঝে বক্তব্য রাখেন এছাড়া অন্যান্য মাঝে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রশাসক, কাজী এমদাদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আসলাম উদ্দিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সিলেট এর ইনচার্জ মধু সূদন চন্দ, হাহটেক পার্কের পরিচালক ব্যারিষ্টার মো. গোলাম সরওয়ার, মঈনুন্নেসা স্কুলের শিক্ষক মো.মকসুদ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিবৃন্দ কে ফুলদিয়ে বরণ করেন নেন জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন বিভাগের কর্মর্কতাবৃন্দ,অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন মহলসহ সরকারী বেসরকারী উধর্বতন কর্মকর্তাসহ প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে প্রাণবন্ত করে তুলেন

এ বিভাগের অন্যান্য