ভক্ত-অনুরক্তে ভরপুর জকিগঞ্জের বালাই হাওর
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হযরতের ভক্ত-অনুরক্ত, মুরিদান, আশেকানসহ সর্বস্তরের মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভরে উঠেছে জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী ছাহেববাড়ি সংলগ্ন বালাই হাওর।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গ, শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর ১১তম ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো জিকির-আজকার, তাসবিহ, তাহলিলে প্রকম্পিত হবে বালাইর হাওর।
মাহফিলে যোহরের নামাজ শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।
মঙ্গলবার (১৫জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ঈসালে সোয়াব মাহফিল চলবে বুধবার ফজর পর্যন্ত।
বেলা যত গড়াচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সংখ্যা ততোই বাড়ছে। তবে মাগরীব এর নামাজের পর থেকে ওয়াজ-নসিহত, তেলাওয়াত ধারাবাহিকভাবে চলবে।
মাহফিল পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, মাহফিল উপলক্ষ্যে লাখো মুরীদীন মুহিব্বীনকে বরণ করতে ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে বালাই হাওর। তৈরি হয়েছে তিন ধাপে সুদৃশ্য স্টেজ ও ৮১ হাজার বর্গফুটের মূল প্যান্ডেল।
এছাড়া প্যান্ডেলের বাইরে বসার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার বর্গফুট জায়গা প্রস্তুত হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে খাবার পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৭০ হাজার বর্গফুটের খাবারস্থান।
এ ব্যাপারে মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, বালাইহাওরে স্টেইজ ও প্যান্ডেল প্রস্তুত করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও বিশাল মানুষের সমাগমকে শৃংখলার সাথে রাখতে আমাদের ৫শত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।
পাশাপাশি প্রায় আড়াই শতাধিক পুলিশ সদস্য আইনশৃংখলায় নিয়োজিত থাকবেন।
ইতোমধ্যে সিলেটের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। মেহমান প্রসঙ্গে বলেন সিলেট বিভাগের এমপি, মন্ত্রীগণ উপস্থিত থাকতে পারেন। মাহফিলের ১৬টি গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে ৫হাজারের বেশি বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস সহ বিভিন্ন প্রকারের গাড়ি যাতায়াত করবে। খাবার বিষয়ে বলেন দুপুর থেকেই শৃংখলার সাথেই খাবারের প্যাকেট দেওয়া হবে। যতক্ষণ প্যাকেট থাকবে, ততক্ষণ খাবার পরিবেশন করা হবে