আধুনিক জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ রূপকার একজন মন্ত্রী এম.এ.মান্নান

  • মবরুর আহমদ সাজু, সিলেট 
  •  উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে দুটি উপজেলার দৃশ্যপট
  • হারিকেন ছেড়ে বিদ্যুতের আলোয় পথ দেখাচ্ছে তরুণদের
  • সাঁকোর বদলে পাকা রাস্তায় জিবনমানের উন্নয়ন
  •  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নে এলাকায় কৃষকের মুখে আলোর বানী

মাত্র কয়েক বছর আগে সিলেট থেকে যে জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জর একেক ইউনিয়ন কিংবা গ্রামীণ অঞ্চলে যেতে দিন ব্যয় হতো ,সেখানে এখন সময় ব্যয় হয় মাত্র ৩০ থেকে ৪০ মিনিট,এক স্কুল থেকে অন্যস্কুলে শিক্ষার্থীরা,আলোর পথে যখন গ্রামীণ সাকো কাটা হয়ে দাড়াতো সেখানে হয়েছে, পাকা রাস্তা, যেখানে ছিল হারিকেন দিয়ে মানুষ লেখাপড়া করতো সেখানে মানুষ আজ বিদ্যুতের আলোতে সম্ভাবনার বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে চলছে।আর এটা কেবল এক প্রাণপুরুষ জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জর কৃতিসন্তান, এম এ মান্নানর অবদানের ফলপ্রসু, স্বাধীনতার ৪০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি গত ৯ বছরে সেই উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবী করেছেন এই এলাকার জনগণ । মূলত, প্রত্যেক সরকারই মনে করে, তার সময়ে দেশে যত উন্নয়ন হয়, আর কোনো সরকারের আমলে হয় না। বর্তমান সরকারের সময়েও প্রতিদিন এ কথা বলা হচ্ছে। উন্নয়ন নিয়ে এ সরকার এতটাই আত্মতুষ্টিতে ভুগছে যে, অতীতের কোনো সরকার যেন এর ধারে কাছেও যেতে পারেনি। এ সরকারের প্রায় দশ বছরের শাসনামলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা যেন নজীরবিহীন, স্বাধীনতার পর থেকে সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে যত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, সদ্যবিদায়ী অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতি মন্ত্রী ও বর্তমান পরিকল্পনা এম.এ মান্নানের মতো এতো উন্নয়ন কেউ করেন নি। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম.এ মান্নান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পাল্টে যেতে থাকে এই দুই উপজেলার চিত্র। ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন এম.এ মান্নান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এম.এ মান্নান। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য এম.এ মান্নান এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হওয়ায় পাল্টে যাচ্ছে, ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হয়ে আশার আলো দেখছে উপজেলাবাসী বিশেষ করে তরুণদের কর্মসংস্তানের ব্যাপরে। প্রবাসী অধ্যুষিত ও হাওর বেষ্টিত দুই উপজেলা জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ। । রাস্তা -ঘাট-মসজিদ-মন্দির-মাদ্রাসার উন্নয়নের পাশাপাশি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ- জগন্নাথপুরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় হাসপাতালের আসন বৃদ্ধি, দুই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন, দুই উপজেলা সড়কে দৃষ্টি নন্দন ব্রীজ-কালভার্ট নির্মান, অধিকাংশ এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার, প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ ইত্যাদি। দক্ষিণ সুনামগঞ্জকে উপজেলায় উন্নীত করে প্রশাসনিক ভবনসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করা হয়। সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ ও ট্রেক্সটাইলস ইন্সটিটিউটসহ ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সেতু নির্মান, ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউষকান্দি সড়ক নির্মাণ,। মন্ত্রী এম.এ মান্নানের রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসাইন বলেন, প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান যেভাবে এই এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, তা সরকারের ভাবমূর্তিকে ব্যাপকভাবে উজ্জল করেছে। উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে এ দুটি উপজেলার দৃশ্যপট। কয়েক বছরের মধ্যে গ্রামে গ্রামে পাকা রাস্তা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, সৌর বিদ্যুৎ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মানে পাল্টে গেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার শিক্ষাখাত। এ সবের কারিগর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বদলে গেছে এ দুটি উপজেলার মানুষের জীবনচিত্র। এলাকাবাসীর ভাষ্য, গত ৯ বছরে এ দুই উপজেলার সব রাস্তা প্রায় পাকা হয়ে গেছে। এখন আর কাঁচা রাস্তা নেই। সরেজমিনে, এ দুটি উপজেলা ঘুরে উন্নয়নের চিত্র দেখা গেছে। প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের একান্ত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একনেকে অনুমোদিত হয়েছে, সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অনুমোদিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের কাজ বাস্থবায়ন হচ্ছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জে মডেল থানা নির্মাণ হয়েছে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে উপজেলা রাসেল মিনি স্টেডিয়াম কাজ সম্পন্ন হয়েছে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হয়েছে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব স্থায়ী বিল্ডিংয়ের কাজ হচ্ছে, উন্নয়নের ফলশ্রুতিতে বদলে যাচ্ছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুরসহ দুই উপজেলা। সুনামগঞ্জে সুরমা সেতু নির্মাণেও প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের অবদান আছে। শুধু সুরমা সেতু নয় সিলেটের মধ্যে বৃহত্তর জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর উপর সেতু নির্মানেও রয়েছে প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান এর একক অবদান। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নানের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলাসহ সুনামগঞ্জ জেলায় বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যেই এগুলো সম্পন্ন হলে অত্র এলাকার মানুষ ব্যাপক সু-ফল ভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্যযোগ্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে সুনামগঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপন, মেডিকেল কলেজ স্থাপন, পাগলা-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহা-সড়কে ৯টি ব্রীজ নির্মান, ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে রানীগঞ্জ সেতু নির্মানসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এলাকাবাসীর দোয়া ও সমর্থন ফেলে সবসময় আমি সেবা করে যাব ইনশাল্লাহ। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকমল হোসেন বলেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান এ দুটি উপজেলায় যে উন্নয়ন কাজ করেছেন তা নজির বিহীন।

এ বিভাগের অন্যান্য