নগরীর ভোটাররা প্রতিশ্রুতিতে যারা আন্তরিক তাদেরকে ভোট দিয়েছি
মবরুর আহমদ সাজু
রবিবার সকাল থেকে সারাদেশের ন্যায় সিলেটে ও একযোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিলেটে ১ আসনের অর্ন্তভুক্ত সিলেট সিটি কপোরের্শনের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই পুরুষ-নারী ভোটররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রয়োগ করেছেন। অনেক কেন্দ্রে নারী পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে পুরষ ভোটারদের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতিই বেশি প্রত্যক্ষ করা গেছে। সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসরাইল হোসেন সকালবেলা শুভপ্রতিদিন কে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এবং শেষ পর্যন্ত ও এমনটাই পরিবেশ থাকবে বলে তিনি জানান। সিটি কর্পোরেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,এবার অনেক তরুণ তরুণীরা জীবনের প্রথম ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন । কাকে কিংবা কোন দল কে ভোট দিয়েছেন এমন বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘প্রথমবার ভোট দিয়েছি বাংলাদেশের পক্ষে, এ এক অন্যরকম অনুভূতি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি যিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে সিলেটবাসীর জন্য কাজ করবেন এবং ভবিষ্যতে তরুণদের মেধার মূল্যয়ন করবেন।’ সিলেট ১ আসনের তরুণ ভোটার সিলেট কমার্স শিক্ষার্থী রুবেল আহমেদ প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগকরে তরুণদের নিজের অনুভূতি শুভ প্রতিদিনের প্রতিবেদকের কাছে প্রকাশ করে বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হলেও শেষ পর্যন্ত নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারায় বিন্দুমাত্র ক্লান্তি বোধ করিনি।এদিকে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে সিলেটে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে, । নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত অগ্রগামি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কেন্দ্রে প্রথমবার ভোট দিতে আসা জল্লার পারের সেজা খাঁন বলেন, ‘সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। আমি আশা করি, যাকে ভোট দিয়েছি তিনি যুব সমাজের পাশে থাকবেন, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন। দেশের উন্নয়ন মানেই আমাদের উন্নয়ন।’১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মির্জাজাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম শুভপ্রতিদিন কে বলেন, ‘এবারই প্রথম ভোট দিয়েছি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে নিজের ভোট দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। যাকে ভোট দিয়েছি তিনি নির্বাচিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেটাই প্রত্যাশা করছি।’ ৩ নম্বর পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনির্ভাাসির্টির শিক্ষার্থী মাহফুজ আহমদ শুভপ্রতিদিন কে বলেন, গণতন্ত্রের বিজয়ের জন্য বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিয়েছি, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে নিজের ভোট দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। যাকে ভোট দিয়েছি তিনি নির্বাচিত হয়ে সিলেটের তরুণ প্রজন্ম কে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেটাই প্রত্যাশা করছি।’ ২নম্বর ওয়ার্ডের নবীন ভোটার মো. শাকিল আহমদ তিনি মুরারিচাঁদ কলেজের শিক্ষার্থী তিনি নগরীর মদন মোহন কলেজ ক্যম্পাসে ভোট প্রদান করেছেন, প্রথমবার ভোট দেয়া প্রসঙ্গে বলেন প্রথমবার ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়ে অনুভূতিটা খুবই ভাল। তবে প্রার্থী বেছে নিতে অবশ্যই তরুণ কাউকেই বেছে নিয়েছি। আমি ভোট দিয়েছি তরুণদের প্রতি যিনি অনেক বেশি মনোযোগী, তরুণদের সঙ্গে যাঁর সম্পৃক্ততা বেশি, আধুনিক প্রযুক্তির সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন এমন কাউকে। একই সেন্টারে ভোট দিতে আসা, মাইশা, রাইসা, দুলাল বলেনবেশ কয়েক বছর আগে ভোটার হলেও এবারই প্রথম ভোট দিতে যাব। মাঝখানে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবার সুযোগ পাইনি। আর তাই প্রথমবারের উত্তেজনা তো একটু ছিলই। পাশাপাশি নিজেকে কেমন জানি অনেক বেশি দায়িত্ববান কেউ মনে হচ্ছে। তারা বলেন ইশতেহারে বা প্রতিশ্রুতিতে যারা তরুণদের সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে আন্তরিক ছিলেন তাদের কে ভোট দিয়েছি বিশেষ করে গত কয়েক দিনের প্রচারণায় বিভিন্ন প্রার্থীরা যখন ভোট চেয়ে অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। তখন মনে হচ্ছিল তরুণরা এদেশের জন্য অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ কেউ। ভোটাধিকার প্রয়োগের এই সুযোগটা মোটেও আমি ও আমাদের বন্ধুরা হালকাভাবে নিচ্ছি না, সুতারাং আমরা সবাই বাংলাদেশের তরুণদের পক্ষে ভোট দিয়েছি, তারুণ্যের প্রতি আগ্রহটা থাকবে স্বাভাবিকভাবেই। এছাড়া যিনি তরুণদের গুরুত্ব দেবেন, তরুণদের ইচ্ছাগুলোকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার কথা দেবেন বা যার মধ্যে তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সঠিক যোগ্যতা থাকবে তাঁকেই বেছে নেব। আর সিলেটের স্থানীয় সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান জলাবদ্ধতা। ইশতেহারে বা প্রতিশ্রুতিতে যিনি এই সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে বাস্তবিক দিকটা তুলে ধরছেন, তাঁর প্রতিই দুর্বলতাটা বেশি ছিল। আর চিহ্নিত দুর্নীতিবাজকে স্বভাবতই প্রত্যাখ্যান করেছি।